ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সেনা কমান্ডোর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে নিহত ৬ জঙ্গির সবাই বাংলাদেশি। এর মধ্যে পাঁচজন পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। এদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হচ্ছিল বলে জানান মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গুলশানের ঘটনায় নিহত ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলামের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সবাইকে বাঁচানোর আশা নিয়েই অভিযান চালানো হয়েছিল, কিন্তু শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে কখনই অভিযান পরিচালনা করা যায় না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সও তা পারে না। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি এর ফলে হামলাকারীদের অনেক পরিকল্পনা সফল হয়নি।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিদের রুখে দেয়া হবে। আমরা জিরো টলারেন্স নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান জোরদার করবো। জঙ্গিবাদকে কখনই ছাড় দেয়া হবে না।
গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। দেশে আইএস আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, যেকোনো বিষয়ে আইএসের দায় স্বীকার করা হচ্ছে। আমার এর লিংক খোঁজার চেষ্টা করছি। অভিযানে যে ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ খুঁজছিল। তারা গুলশানে এসে নিহত হলো।
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোঁরা হলি আর্টিজানে জিম্মি সংকটের অবসান হয়েছে। জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গিদের পাকড়াও করতে শনিবার সকালে সেখানে কমান্ডো অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী।
‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামের অভিযানটির স্থায়িত্ব ছিল ১৩ মিনিট। সকাল সাতটা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টার আগেই তা শেষ হয়।
এতে ৬ জঙ্গি নিহত ও একজন জঙ্গি আটক হয়। জীবিত উদ্ধার হয় এক জাপানি, দুই শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জন। পরে হলি আর্টিজান থেকে ২০ বিদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের রাতেই হত্যা করে জঙ্গিরা।
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম