নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজেন রেস্টুরেন্টেতে হামলার পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করেছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। সাইটটি বলছে, ঢাকার গুলশানে রেস্টুরেন্টেতে এরাই হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে হত্যা করেছেন। হামলাকারীদের ছবি প্রকাশের সাথে সাথে তাদের পরিচয়ও প্রকাশ হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তাদের মধ্য একজন মীর সাবিহ মুবাশ্বের। স্কলাসটিকার ছাত্র। এ লেভেল পরীক্ষার আগে গত মার্চে মুবাশ্বের নিখোঁজ হন বলে জানা যায়। নিখোঁজের পরপরই মীর সাবিহ মুবাশ্বেরের নিয়েও একটা সংবাদ প্রকাশ হয় ঢাকা থেকে প্রকাশিত এক দৈনিকে। প্রকাশিত সংবাদে ‘সম্প্রতি সে ধর্মীয় উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে’ অশঙ্কা করা হয়েছিল।
গত ৭ মার্চ দৈনিক মানবজমিনে ‘সাত দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কলাস্টিকার ছাত্র মোবাশ্বিরের’ শিরোনামে একটা সংবাদ প্রচার হয়। সেখানে লেখা হয়েছিল, “রাজধানীর গুলশান থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বিরের খোঁজ মেলেনি। ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা জানতে পারছে না সামিহ’র খবর। সে নিজেই আত্মগোপনে গেছে নাকি তাকে কেউ অপহরণ করেছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পুলিশ তাদের বলেছে তারা চেষ্টা করছে। পুলিশ কর্মকর্তারাও বলছেন, তারা সামিহ’র অবস্থান জানা ও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিকটি সেদিন জানায়, স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে সম্প্রতি ও-লেভেল সম্পন্ন করেছে মীর সামিহ মোবাশ্বির। এ লেভেলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে গুলশানের এমিনেন্স কোচিং সেন্টারসহ দুটি কোচিং সেন্টারে পড়ছিল। পরিবারের সঙ্গে সে বনানী ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের ৬৮/এ বাসার ৫/বি ফ্ল্যাটে থাকতো। গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে সে কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়। যানজট থাকায় কোচিং সেন্টারের আগেই গাড়ি থেকে নেমে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গাড়িচালক জুয়েল তাকে কোচিং থেকে আনতে গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
গত ৭ মার্চ প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানাতে পারা যায়, নিখোঁজের পরে সামিহ’র বাবা মীর এ হায়াত কবীর ওই দিনই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৮৪৮) দায়ের করেন। পুলিশ সামিহ’র খোঁজ করতে গিয়ে গুলশান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান সামিহ গাড়ি থেকে নামার পর একটি রিকশা নিয়ে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের দিকে চলে যাচ্ছে। ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই নাজমুল জানান, তারা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘটনার দিন বিকাল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। সম্প্রতি সে ধর্মীয় উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।’
২ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস