ঢাকা: রাত ৯টার কিছুক্ষণ পর হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট থেকে একটা ফোন আসে গুলশান থানায়। বলা হয়, 'আমাদের বাঁচান'। ঘটনা শুনে থানা থেকে একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল পাঠানো হয়। তারা রেস্টুরেন্ট কমপাউন্ডে ঢুকতেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দুই পুলিশ থানায় ফিরে গিয়ে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
রাত ১০টার দিকে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াতের সদস্য নিয়ে ওই রেস্টুরেন্ট কম্পাউন্ডে ঢোকেন গুলশান জোনের এডিসি আহাদুজ্জামান, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন। রেস্টুরেন্ট কম্পাউন্ডে একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পড়ে থাকতে দেখে ওই দিকে এগিয়ে যান তারা। সোয়াত টিমের এক সদস্য পড়ে থাকা গ্রেনেডটি হাতে তুলে নেন। পরে তার কাছ থেকে গ্রেনেডটি নেন ওসি সালাউদ্দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতেই বিকট শব্দে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটে। স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এডিসি আহাদ, ওসি সালাউদ্দিন ও ডিবির এসি রবিউল। পরে তাদের ইউনাটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে সালাউদ্দিন ও তার কিছুক্ষণ পরই রবিউল মারা যান। এখনও চিকিৎসাধীন এডিসি আহাদ ও সোয়াতের এক সদস্য। তবে কোনো কোনো সূত্র বলছে, সালাউদ্দিন বুলেটবিদ্ধও হয়েছিলেন।- কালের কণ্ঠ
৩ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস