রবিবার, ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০৪:০৫:২৯

ভারতের গণমাধ্যমে গুলশান হামলা

ভারতের গণমাধ্যমে গুলশান হামলা

নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী ভারতের প্রথম সারির সব গণমাধ্যমেই গুরুত্বসহকারে প্রকাশ পেয়েছে ঢাকার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এই হামলায় কমপক্ষে একজন ভারতীয় নিহত হয়েছেন। নিচে ভারতীয় প্রচারমাধ্যমে ঘটনাটি যেভাবে উঠে এসেছে, তার প্রধান অংশগুলো তুলে ধরা হলো:
এই হামলা বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ: হিন্দুস্তান টাইমস
শুক্রবার রাতের নজিরবিহীন হামলা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এই লড়াই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক এবং অসহিষ্ণু উগ্রবাদীদের মধ্যে রক্তাক্ত আদর্শিক লড়াই। এর মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ কি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র অসাম্প্রদায়িক নীতির ওপর থাকবে, নাকি ধর্মীয় গোঁড়ামি এখানে জেঁকে বসবে।
সহনশীল মুসলিম দেশটিতে উগ্রপন্থা বাড়ছে: টাইমস অব ইন্ডিয়া
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে একটি সহনশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তবে সেখানে সম্প্রতি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা বাড়ছে। ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে প্রায় দুই ডজন ভিন্নমতাবলম্বী লেখক, প্রকাশক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক, সমাজকর্মী এবং বিদেশি দাতা সংস্থার কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। হামলার মাত্রা সম্প্রতি বেড়ে গেছে। শুক্রবার ঢাকার রেস্তোরাঁয় হামলার আগে সকালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একজন হিন্দু পুরোহিতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঢাকায় রাতের হামলাটা একেবারে অন্য রকম: আনন্দবাজার
ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক লিখেছে, এত দিন পর্যন্ত ‘মৌলবাদী দুষ্কৃতী’ বা জঙ্গিদের টার্গেট ছিলেন হয় মুক্তমনা মানুষেরা, নয়তো দেশের সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীরা! ঢাকায় শুক্রবার রাতের হামলাটা কিন্তু একেবারে অন্য রকম। যে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় হামলা হলো, তাতে বিদেশিরাই বেশি যান! আনন্দবাজার-এর প্রতিবেদন প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অন্যান্য দেশের কাছে ব্ল্যাক লিস্টেড করে তোলাই কি এ হামলার উদ্দেশ্য? তাহলে হাসিনা সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
নতুন নয়, তবে হামলার ব্যাপকতা অনেক: এনডিটিভি
বেসরকারি এই টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় বিদেশিদের ওপর হামলা কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ লেখকদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। গত বছরই গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে হত্যা করা হয়। তবে শুক্রবারের হামলার ব্যাপকতা অনেক।
কৌশল পরিবর্তনের সতর্কবার্তা: দ্য হিন্দু
গুলশানের জিম্মিসংকট দেশটির জন্য বড় ধরনের সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করেছে দ্য হিন্দু পত্রিকা। বিশ্লেষকের বরাতে পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশে উগ্রবাদীরা হয়তো তাদের আগের কৌশলের (টার্গেট কিলিং) পরিবর্তন আনতে পারে। গুলশানে বড় ধরনের হামলা সেই জানানই দিচ্ছে।-প্রথম আলো
৩ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে