ঢাকা : পুলিশ সদর দফতর থেকে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের জঙ্গি হিসেবে যে পাঁচজনের লাশের ছবি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন সাইফুল চৌকিদার।
তিনি জঙ্গি নন, তিনি গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির শেফ বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রেস্টুরেন্টের মালিক সাদাত মেহেদি।
সাইফুল চৌকিদার তালুকদারের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা কলুকাঠি গ্রামে। রেস্টুরেন্টে হামলার খবরের সংবাদ টিভিতে দেখে দুই বোন তাকে খুঁজতে আসেন শনিবার সকালে গুলশানের নির্ধারিত স্থানে। ভোর পাঁচটায় তারা গ্রাম থেকে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেন দুপুর দেড়টার দিকে।
তার ভায়রা কবির এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন লাশ নিতে। তিনি জানিয়েছেন, সাইফুল আগে দেশের বাইরে ছিলেন, কয়েক বছর আগে আর্টিজানে শেফের চাকরি নেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গুলশানের ঘটনায় যেসব লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সব লাশ ভেরিফাই করা হবে। এরপর জানা যাবে সাইফুল চৌকিদার জঙ্গি কি-না।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে।
সেখানে তাদের গুলিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর তারা দেশি-বিদেশি ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্যদিয়ে রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় ৬ জঙ্গি নিহত হয়।
ওই হামলায় জড়িত দাবি করে সাইট ইন্টিলিজেন্স পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করেছে। পুলিশও শনিবার রাতে নিহত পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করে।
দু'পক্ষের ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল রয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিদের সঙ্গে মীর সামেহ মুব্বাসীরের চেহারার মিল রয়েছে।
পুলিশ ওই পাঁচজনের নাম বলেছে আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
৩জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম