সোমবার, ০৪ জুলাই, ২০১৬, ০৫:৩৩:১৩

হে তরুণ! তোমাদের এই পথ ইসলামের নয়; জাহান্নামের

হে তরুণ! তোমাদের এই পথ ইসলামের নয়; জাহান্নামের

নিউজ ডেস্ক: আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের জন্ম ১৯৫০ সালের ৭ মার্চ। তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম। ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ফাজিল পাস করেন। বাংলাদেশ সরকারের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সহসভাপতি, এশিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ পরামর্শক; ফাউন্ডেশন ফর গ্লোবাল পলিসি স্টাডিজ, ইকরা বাংলাদেশ, ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এবং ইকরা মাল্টিমিডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডের সভাপতি। মাসিক পাথেয় পত্রিকার সম্পাদক। বিভিন্ন সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ইমাম ট্রেনিং একাডেমির গবেষণা, প্রকাশনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামা পরিচালনা করছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী ফাতোয়ায় এক লাখ মুফতি ও আলেমের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তিনি। বাংলা ও উর্দু ভাষায় লিখিত বা অনূদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০০। এর মধ্যে ১২টি গ্রন্থ সরাসরি আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন। গত সপ্তাহে ইকরা বাংলাদেশ কার্যালয়ে তাঁর সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন গাউস রহমান পিয়াস

প্রশ্ন : সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফাতওয়া’ বিষয়ে মেহেরবানি করে যদি কিছু বলেন...

আল্লামা মাসউদ : বর্তমানে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, আতঙ্কবাদের যে বিস্তার ঘটছে, এর সঙ্গে যে ইসলামের সম্পর্ক নেই এ বিষয়ে এক লাখেরও কিছু বেশি প্রখ্যাত মুফতি, আলেমের দস্তখতসহ এই ফতোয়া আমরা প্রকাশ করেছি।

প্রশ্ন: এই আলেমদের বাছাই করেছেন কিভাবে?

আল্লামা মাসউদ : আমরা কাজটা শুরুর আগে এখানেই (ইকরা বাংলাদেশ) সম্মেলন ডেকেছিলাম। বড় আলেম, মুফতি, ইমামরা এতে অংশ নেন। এতে আমরা ফতোয়ার জবাবের একটি খসড়া চূড়ান্ত করি। এই খসড়ার ওপরই পরে দস্তখত নেওয়া হয়। আমরা দারুল উলুম দেওবন্দ, হাটহাজারী মাদ্রাসা, বসুন্ধরার মাদ্রাসা দারুল ইফতাহ, চরমোনাইয়ের দারুল ইফতাহ, শেখ জাকারিয়া ইনস্টিটিউটসহ অনেকের কাছ থেকেও ফতোয়া সংগ্রহ করি। যে তিন শতাধিক আলেম ছিলেন সম্মেলনে, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া বণ্টন করি এবং একটা ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করে দিই, কারা এতে সমর্থনসূচক দস্তখত দিতে পারবেন। অর্থাৎ মুফতি, আলেম, মাদ্রাসা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এক কথায় যাঁরা ইসলাম সম্পর্কে কথা বলতে পারেন তাঁরাই দস্তখত করেছেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়া আলেমরা পাঁচ মাস ধরে পরিশ্রম করে কাজটি সম্পন্ন করেছেন।

প্রশ্ন: সব ধারার আলেমের দস্তখতই নেওয়া হয়েছে কি?

আল্লামা মাসউদ : হ্যাঁ। যেসব আলেম কোরআন-হাদিসের বক্তব্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে পারেন তাঁরা কওমি ধারা, আলিয়া ধারা, যেকোনো ধারাই হোক না কেন, সবার দস্তখত আমরা নিয়েছি। সুন্নি ধারার আলেম প্রচুর আছেন। আলেমদের মধ্যে এক হাজারের কাছাকাছি মহিলা আলেম। আমাদের দেশে প্রচুর মহিলা মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে ইসলাম বিশেষজ্ঞ মহিলারা বেরিয়েও আসছেন। যেহেতু জঙ্গিরা মহিলাদেরও তাদের কাজের মাধ্যম বানাচ্ছে, তাই আমরা মহিলা আলেমদের দস্তখত নেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। আল্লাহর মেহেরবানি পুরো ফতোয়াটি ৩০ খণ্ডে হয়েছে। এর মধ্যে চারটি খণ্ড নারীদের। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই, এভাবে ফতোয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর মূল ফতোয়াটি আমাদের ৬৪ পৃষ্ঠার।

প্রশ্ন: জঙ্গি সমস্যা আজ অনেক দেশেই দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই সব দেশের আলেমদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি?

আল্লামা মাসউদ : আমরা তো দীর্ঘদিন আগে থেকেই এ নিয়ে ভাবছিলাম। তাই বাংলাদেশের বাইরেও, যেমন: ইংল্যান্ড, আমেরিকা, সৌদি আরবে অনেকের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। ইন্টারনেটে হয়েছে। মূলত বিষয়বস্তু নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ফতোয়া আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায়ই করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো দিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া ফরাসি ভাষায়ও এর অনুবাদ করানো হচ্ছে। ফতোয়াটি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, এপি, রয়টার্সসহ বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে নিউজ করেছে।

ফরাসিতে করছি, কারণ আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশে ফরাসিভাষী মুসলমান রয়েছে। বাংলা তো আমাদের মাতৃভাষা। বাকি তিনটি ভাষায় ৯০ শতাংশ মুসলমানের কাছে আমরা পৌঁছতে পারব। গণমাধ্যমের সুবাদে জানাজানি হওয়ায় আমরা বিভিন্ন মহলের মতামতও পাচ্ছি। স্থানীয় আর্চ বিশপ দেখা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান, বৌদ্ধ ধর্মের একজন প্রতিনিধি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমাদের বার্তাটি যেসব জায়গায় আশা করিনি, সেখানেও পৌঁছেছে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সুবাদে।

প্রশ্ন : জঙ্গিদেরও তো কিছু বক্তব্য আছে। আপনারা কি পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বা খণ্ডন করেছেন?

আল্লামা মাসউদ : আমরা দুটি বিষয় এনেছি। প্রথমত, তারা যে চেতনার বৈকল্যের শিকার অর্থাৎ বিভ্রমটা কোথায় কোথায়, তা দেখানোর জন্য আমরা ১০টি পয়েন্ট ঠিক করেছি। শেষ পয়েন্টটি ছিল এখন সাধারণ মানুষের করণীয়টা কী? চুপ থাকা জায়েজ হবে কি হবে না। নাকি প্রতিরোধের জন্য যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এই পয়েন্টগুলো নিয়ে আমরা কোরআন-হাদিসের পূর্ণ রেফারেন্সসহ উল্লেখ করেছি। তাঁরা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য যে আয়াত বা হাদিস দিয়ে থাকেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা আমাদের পূর্বসূরিরা অর্থাৎ প্রথম যুগের সাহাবিরা, মুজতাহিদরা, তাঁরা কী ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সে আলোকে জঙ্গিদের ব্যাখ্যা খণ্ডন করা হয়েছে।

প্রশ্ন: কেন ইসলামের আবির্ভাবের এত দিন পর এ-জাতীয় সমস্যা দেখা দিচ্ছে?

আল্লামা মাসউদ : আগে দেখা দেয়নি এমন নয়। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের উত্থান মৌলিকভাবে হয়েছে ৪০ হিজরি সালে। খারেজি নামে একটি গোষ্ঠী এসব আয়াত পেশ করে মুসলমানদের, সাহাবিদের, এমনকি হজরত আলীকে পর্যন্ত কাফের বলে গুপ্তহত্যা করেছে। এই উগ্রপন্থীরা কোরআন শরিফের যে ব্যাখ্যা দিত তত্কালে, বর্তমানে জঙ্গিরাও তা-ই করছে। তাদের পর ‘হাসিসিহিনরা’, ইবনে সাফার গোষ্ঠী সবাই চরমপন্থী ছিল। হজরত আলী (রা.), হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর তাঁরা সত্য ব্যাখ্যা দিয়ে খারেজিদের প্রতিহত করেছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) তো প্রখ্যাত সাহাবি, মুফাসসির ও মুহাদ্দিস ছিলেন।

প্রশ্ন: ফতোয়ার বার্তাটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনারা কী করছেন?

আল্লামা মাসউদ : এ ব্যাপারে আমরা গণমাধ্যমেরও সহায়তা বা পরামর্শ চাই। কারণ গণমানুষের কাজে আপনারা দক্ষ। আমরা আপাতত চিন্তা করছি, যেহেতু লক্ষাধিক আলেম স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সঙ্গে আছেন, তাঁদের অনেকেই ইমাম; তাই খুতবায় তা ব্যবহার করবেন। আমরা অনুরোধ করেছি, ওয়ায়েজিন (বক্তা) যাঁরা, তাঁরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। আমরা আরো ফতোয়ার মূল অংশ পুস্তিকা আকারে ছেপে ব্যাপকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

আপনারাও যদি বুকলেটের একটি-দুটি হাদিস পত্রিকার দৃশ্যমান কোনো স্থানে প্রতিদিন ছাপেন, বারবার দেখে দেখে মানুষের মনে একটা প্রভাব পড়বে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াও খবরের আগে ও পরে ‘প্রমোর’ মতো বানিয়ে প্রচার করতে পারে। আল্লাহর মেহেরবানিতে এই কয়েক দিনেই আপনাদের প্রচারের কারণে অনেকে চায়ের স্টলে বসেও ফতোয়াটি নিয়ে আলাপ করছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। আমরা আশা করছি, মাসখানেক পর দেশি-বিদেশি প্রভাব নিয়ে একটা পর্যালোচনা সেমিনার করব। প্রথম প্রভাব তো দেখছি। আগে যারা দস্তখত করেননি, অনীহা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদের অনেকে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমরা বলেছি, প্রক্রিয়া চলমান আছে। দস্তখত করা যাবে।

প্রশ্ন: যারা জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তারা এক ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আসছে বলে আমরা দেখছি। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে আলিয়ার তুলনায় কওমির ব্যাকগ্রাউন্ডের সংশ্লিষ্টতা বেশি ধরা পড়ছে। এটা কেন হচ্ছে?

আল্লামা মাসউদ : আমি আপনার সঙ্গে একমত নই। যারা সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারী, তারা কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তা বড় জিনিস নয়। তাহলে তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বলতে হবে। যদি হিসাব করেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে যত ‘চোর’ বেরিয়ে আসছে, সংখ্যাটি খুব কম হবে না। তাই বলে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চোরদের বিশ্ববিদ্যালয় বলব? এক কবি যেমন করে ‘ডাকাতদের গ্রাম’ বলেছিলেন? আমাদের দেশে সন্ত্রাসের শিকড়টা কী তা দেখা দরকার। আমাদের দেশে ইসলামের প্রথম উগ্রবাদী ব্যাখ্যা দেন আবুল আলা মওদুদী ব্রিটিশ আমলে, ১৯৪০ সালের দিকে। মওদুদী আলেম ছিলেন না, ছিলেন সংবাদকর্মী।

তিনি ইসলামের প্রথম জঙ্গি ব্যাখ্যা দেন। কী ফ্যাসিবাদী সে ব্যাখ্যা! মওদুদী কোরআন শরিফের তাফসির করতে গিয়ে লিখেছেন, শ্রেষ্ঠ নবীদের একজন হজরত ইউসুফ (আ.) সাধারণ ডিক্টেটর ছিলেন না, ইতালির মুসোলিনির মতো ডিক্টেটর ছিলেন। ওই ফ্যাসিবাদী ধারণার ওপর মওদুদী জামায়াতে ইসলামী নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন; যার শাখা পাকিস্তান আমলে আমাদের এই বাংলাদেশে (তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান) গঠিত হয়, এখনো আছে। এরা এতটা হিংস্র, আমরা দেখেছি হেন বর্বরতা, হেন হিংস্রতা নেই, জামায়াত ও এর ছাত্রসংঘের ছেলেরা না করেছে। তারা এটা কোথায় পেয়েছে? মওদুদীর উগ্রবাদী দর্শন থেকে।

এই দর্শনের যারা ইউনিভার্সিটি, আলিয়া কিংবা কওমিতে পড়ছে এরাই দেখা গেছে উগ্রবাদে জড়াচ্ছে। একইভাবে হিযবুত তাহ্রীর বা অন্য কোনো সংগঠন বলেন, পেছনে ওই উগ্র রাজনৈতিক আদর্শ ক্রিয়াশীল। উগ্রবাদের পেছনে জামায়াত ও শিবিরের অবদানই বেশি। এর বড় প্রমাণ হলো, এরা এখানে পাকিস্তানের বন্ধু, এদের কয়েকজন নেতার ফাঁসি কার্যকর করার পর পাকিস্তানের যে প্রতিক্রিয়া তা লক্ষ করলে দেখব আমার পরানের বন্ধুর একি হাল!

প্রশ্ন: তাহলে চলমান উগ্রবাদের পেছনে কোন কারণটা বেশি সক্রিয় রাজনৈতিক, নাকি আদর্শিক?

আল্লামা মাসউদ : ৯০ শতাংশ রাজনীতি, ১০ শতাংশ আদর্শ। এই ১০ শতাংশ আদর্শের ধারক তারা, যারা নয়া রিক্রুট। তাদের নেতাদের শতভাগ মোটিভ রাজনৈতিক। এই নেতারা বুঝেশুনে করছেন। যারা রিক্রুট হচ্ছে, তারা কেউ আবেগে, কেউ পয়সার লোভে, কেউ বা শহীদ হওয়ার লোভে করছে। এক কথায় নানা ফ্যাক্টর কাজ করছে।

প্রশ্ন : এই নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে কিছু বলুন

আল্লামা মাসউদ : হে তরুণ! যে পথকে জান্নাতের পথ ধরে নিয়ে তোমরা অগ্রসর হচ্ছ, তা আসলে জাহান্নামের পথ। তাই অতিসত্বর তাওবা করে ইসলামের পথে, হেদায়েতের পথে, শান্তি ও মানবকল্যাণের পথে ফিরে এসো। এতেই মঙ্গল।-কালের কন্ঠ

৪ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে