নিউজ ডেস্ক : গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা ঢুকে সবাইকে জিম্মি করলে কয়েকজন একটি শৌচাগারে আশ্রয় নেন। জঙ্গিরা বাইরে থেকে বলে, ‘এই এখানে কারা আছিস, তোরা বাঙালি না ফরেনার।’ গত শুক্রবার রাতে ওই রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ওই রেস্তোরাঁর একজন কর্মী ভারতের এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। আজ বুধবার ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশি, তিনজন বাংলাদেশি (একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক)।
রেস্তোরাঁর ওই কর্মী উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বরাত দিয়ে এনডিটিভিকে বলেন, ‘ওকে (উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি) দিয়ে সারা রাত্র ওরা (জঙ্গিরা) মাছ ভাজা, পাস্তা অন্যান্য ফুড জাতীয় খাবার খাইছে। ওকে কোরআন শরীফ পড়াইছে, ও আমাকে যা বলছে। যে রান্না করে খাওয়াইছে, ওকে বলেছে তোরা নামাজ-কোরআন পড়বি। ওদের সেহরি খাইয়েছে, ওরাও খাইছে।.... ওরা যখন মরবে মরবে, মারা যাবে বা পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে ওদের বলছে, দেখ, আমরা যেরকম ওদের মারছি, আমারও হাসিমুখে কিছুক্ষণ পরে মারা যাব। তোদের সঙ্গে আমাদের জান্নাতে বসে দেখা হবে। হঠাৎ কিছুক্ষণ পরেই ভেতরে শুনতে পাই শব্দ, গোলাগুলির। আমার পাশ দিয়ে আমার সেফ ডিয়াগো, আর্জেন্টিনার, ও দৌড় দিছে। আমরা সাথে সাথে বাথরুমের ভেতর ঢুকি, আমরা নয়জন বাথরুমের ভেতর সারারাত থাকি। পরে অনুমান রাত ২-৩টা বাজে, তখন ওরা আমাদের ওখান দিয়ে হাঁটে, হাঁটার পরে বলতেছে যে, বাথরুমের দরজা বন্ধ, তার ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে এসেই আমাদের বলে, এই ওখানে কারা আছিস, তোরা বাঙালি না ফরেনার। আমি সামান্য মাথা নোয়ানোর ফাঁকা দিয়ে দেখলাম, একজনের সামনে বড় একটা রামদাও ধইরা আছে, আরজনের পেছনে...পিস্তল ধরে আছে।’ -এনডিটিভি’র বরাত দিয়ে প্রথম আলো।
৭ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস