নিউজ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের স্থানীয় একজন সাংবাদিক সাইফুল হক দুলু বলেছেন কিশোরগঞ্জে আজিমউদ্দিন হাই স্কুলের সামনে পুলিশ একটি টহল চৌকি বসিয়েছিল নিরাপত্তার জন্য।
তিনি বলছেন সেখান দিয়ে হামলাকারীরা ভেতরে ঢোকার সময় “পুলিশ ওই চৌকিতে যখন ব্যাগ তল্লাশি করতে যায় তখন এক জঙ্গী একজন পুলিশ কনস্টেবলের ঘাড়ে কোপ দেয়।”
“কোপ দেওয়ার সাথে সাথে গোলাগুলি। পুলিশ পাল্টা গোলাগুলি করার এক পর্যায়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা যখন আসে, তখন সন্ত্রাসীরা পালাতে চেষ্টা করে।”
সাইফুল হক বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভীনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন এর মধ্যে হামলাকারীদের গুলিতে এবং দায়ের কোপে অন্তত নয়জন কনস্টেবল আহত হয়।
“র্যাব এবং পুলিশ এরপর তিনঘন্টা ধরে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে,” বলে বিবিসি বাংলাকে জানান সাইফুল হক দুলু। তিনি বলেন ওই এলাকার গোলাপবাগে হামলাকারীরা যখন অবস্থান নেয়, তখন পুলিশ দুজন হামলাকারীকে চিনতে পারে। হামলাকারীদের একজন চারতলা একটি বাড়ির নিচে আশ্রয় নেয় বলে তিনি জানান।
পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান পরে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ ওই হামলাকারীকে বন্দুক ও চাপাতিসহ আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি ও একটি ককটলে উদ্ধার করেছে বলে সাইফুল হক জানাচ্ছেন।
মিঃ হক নামাজের মাঠে সেসময় নামাজ আদায় করছিলেন। তিনি বলেন, “মাঠের মাইকে যেহেতু তখন একজন হুজুর কোরানের বয়ান করছিলেন, তাই প্রচণ্ড আওয়াজের কারণে মাঠের ভেতরে বাইরের এই ঘটনার খবর কোনোভাবে পৌঁছে নাই।”
“নামাজের মধ্যে যদি আতঙ্ক ছড়ায়ে যেত, দৌড়াদৌড়ি শুরু হলে তখন হয়ত কয়েক হাজার মানুষ পদপিষ্ট হয়ে হতাহত হতে পারত।’’
তিনি বলেন মাঠের খতিব ও ইমাম মওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ হেলিকপ্টার যোগে কিশোরগঞ্জে আসলেও উনি নামাজ পড়াতে পারেন নি, কারণ নিরাপত্তার কারণে ওঁনাকে সার্কটি হাউস থেকে মাঠে আনা সম্ভব হয় নি বলে তিনি জানান।
নামাজের পর মুসল্লিদের বলা হয় মাঠের পেছনের রাস্তা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে, “তখনই মুসল্লিরা ঘটনার কথা জানতে পারেন।”
তিনি বলছেন পুলিশ জানিয়েছে একজন জঙ্গী পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এবং আরেকজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে এবং আরও ৩জনকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটকের কথা পুলিশ বলেছে।-বিসিবি
৬ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর