ঢাকা : বাঁচতে পারলেন মা। পুলিশের গুলিতে মায়ের ঘরটা ভেসে গেল মায়ের রক্ততেই। সবার ঘরে ঈদ আনন্দ। এই মাও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিজের সন্তাদের মাঝে ঈদের আনন্দের কিছুটা দেয়ার জন্য।
মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঈদ। বাচ্চাদের মধ্যে সাজসাজ রব। নিজের বাচ্চাদের জন্য সেমাই কিনে প্রস্তত রেখেছেন এই মা। রুটি দিয়ে সেমাই খাবেন বলে ব্যস্ত ছিলেন রান্নার কাজে।
আর গৃহকর্মী ঝর্ণা রানী ভৌমিকের মাথায় বিদ্ধ হয় পুলিশের গুলি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পড়েন তিনি। মায়ের রক্তে ভেসে যায় তার নিজের ঘর। নিজ বাসায় বসেও এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কে চায়?
ঝর্না রাণীর ছেলে ঢাকার একটি কলেজের তরুণ শিক্ষক। মায়ের করুণ মৃত্যু চেয়ে চেয়ে দেখলেন তিনি। ঘরের মেঝেতে রক্তের স্রোত বয়ে যায়। পুলিশ এসে মায়ের লাশ নিয়ে যায় থানায়। ময়না তদন্ত করা হবে লাশের।
নির্বাক হয়ে যান বাসুদেব। বাসুদেব বলেন, আমার মাকে এভাবে মরতে হলো। আমরা কো কারও আগে বা পিছে নেই। প্রসঙ্গত,
ঢাকা : ঈদের নামাজের আগে থেকে শুরু হয়ে পরেও চলতে থাকে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটণা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলে পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে। সন্ত্রাসীরা কারা? কেন এই হামলা? এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনো।
নামাজ শুরুর আগেই পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি শুরু হয়। নামাজ শেষেও থেমে থেমে হয় সংঘর্ষ। কনস্টেবল জহিরুল নামের একজন পুলিশ ঘটনাস্থলে মারা যায়। এর পরে হাসপাতালে প্রশান্ত নামের আর একজন পুলিশ মারা যায় হাসপাতালে। সন্ত্রাসী নিহত হযেছে একজন।
ঈদগাহ ময়দানকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঈদের আনন্দ ম্লান অত্র এলাকাবাসীর। সবাই দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নিয়েছে নিজ নিজ একান্ত ঠিকানায়।
সংঘর্ষের ঘটণায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪। র্যাব ১৪ ভৈরব ক্যাম্প বলছে, ঘটনাস্থলে ঝর্না রানী ভৌমিক নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই গরীব পথচারী বলে ধারনা।
প্রসঙ্গত, শুরুতে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশে বিস্ফোরণের ঘটণা ঘটে। এর পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। বিপুল সংখ্যেক পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। ঘটনার জেড়ে মুসল্লিদের মধ্যে নেমে আসে আতঙ্ক।
ঘটনায় ১০ পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। শোলাকিয়া মাঠ-সংলগ্ন আজিমুদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ঈদের জামাতের আগে এই ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদরদপ্তর ) ওবায়দুল হাসান বলেন, “ককটেল জাতীয় কিছুর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
তবে এখনও অনেক কিছু পরিস্কার নয়। এই হামলার বিষয়ে কারা জড়িত তা পরিস্কার করতে পারছে না পুলিশ। সর্বশেষ রিপোর্টে এলাকায় আতঙ্কসহ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
৬ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর