শনিবার, ০৯ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৪১:৪৪

নিখোঁজ ১০ জনের একজন গুলশানের আর্টিজানে গিয়েছিলেন!

নিখোঁজ ১০ জনের একজন গুলশানের আর্টিজানে গিয়েছিলেন!

উদিসা ইসলাম : নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিভাবকদের দেওয়া ছবির ইব্রাহিম হাসান খান গতবছরের ১২ জুন বন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলেন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে। তার যে ছবি টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখে বন্ধুরা নিশ্চিত করেছেন, এটাই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে থাকা ছবি। ফেসবুকে তিনি শেষ পোস্ট দেন  ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই। সেখানে কোরআনের আয়াত দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন ইব্রাহিম।

ইব্রাহিমের ফেসবুকে গিয়ে তার বন্ধুতালিকা থেকে একজনের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছবি দিয়ে কোনটি ইব্রাহিম জানতে চাইলে তিনি শনাক্ত করেন। ওই বন্ধু আরও জানান, যে ছবি দেওয়া হয়েছে সেটি তার কিশোর বয়সের ছবি।

ইব্রাহিম স্কুলে থাকতে সৌদিআরবে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর  দেশে ফিরে আসেন। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বন্ধুরা কিছু জানাতে পারেননি। তবে তার চালচলন এবং জীবন যাপন দেখলে অন্য ধরনের কিছু সন্দেহ করার সুযোগ ছিল না বলে উল্লেখ করেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বন্ধু বলেন, সম্প্রতি ইব্রাহিমকে ফেসবুকে বার্তা পাঠানোর পর বার্তাটি তিনি দেখেছেন বলে ‘সিন’ লেখা আসলেও কোনও উত্তর দেননি তিনি।

নিখোঁজ যে দশ যুবকের সন্ধান চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে তারা হলো,  ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর- এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), চাপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, ঢাকার আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর-৫২৫৮৪১৬২৫), সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী (পাসপোর্ট নম্বর-এল ০৬৩৩৪৭৮), ঢাকার ইব্রাহীম হাসান খান (পাসপোর্ট নম্বর-এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), লক্ষ্মীপুরের এটিএম তাজউদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর- এফ ০৫৮৫৫৬৮), ঢাকার ধানমণ্ডির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর-ই ১০৪৭৭১৯), সিলেটের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর-টি কে ৮০৯৯৮৬০) এবং জুনুন শিকদার (পাসপোর্ট নম্বর-বি ই ০৯৪৯১৭২)।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২ পুলিশ সদস্য, ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয় বলে শনিবার সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। অভিযানে জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে।

নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল। নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। -বাংলা ট্রিবিউন
০৯ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে