রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০১:০৩

হাসনাত করিমের খোঁজ মিলছে না!

হাসনাত করিমের খোঁজ মিলছে না!

নিউজ ডেস্ক : ১ জুলাই শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজানে কমান্ডো অভিযানের পর জিম্মিদশা থেকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে পুলিশের সন্দেহে থাকা দুজনের খোঁজ মিলছে না। তারা হলেন- নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিব খান (২২)।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হামলার আট দিন পরেও তারা বাসায় ফেরেনি বলে। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতে উদ্ধারদের তালিকায় নাম থাকলেও আসামিদের মধ্যে ওই দুজনের নাম নেই।

হাসনাত ও তাহমিদ কোথায় জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে  বলেন, “যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ এখন পুলিশের কাছে নেই।”

গুলশানের ওই ক্যাফেতে ১ জুলাইয়ের জিম্মি দশার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাতের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা উঠে আসে ফেইসবুকে।

নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে হাসনাতকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহতি দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবর। রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে যে পাঁচ হামলাকারী নিহত হন, তাদের মধ্যে নিব্রাস ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জীবিত অবস্থায় যে ৩২ জনকে উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, সে তালিকায় হাসনাত ও তাহমিদের নাম রয়েছে।

ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। একদিন আগে দেশে ফিরে হামলার দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার।

পুলিশ এখন দুজনকে তাদের হেফাজতে রাখার কথা অস্বীকার করলেও দুজনের বাবা বলছেন, তাদের ছেলেরা গোয়েন্দা পুলিশের কাছেই আছে।

হাসনাতের বাবা এম রেজাউল করিম শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, “ডিবি ওকে নিয়ে যাবার সময় বলেছিল বাসায় পৌঁছে দেবে। কিন্তু এখন তো ওর সঙ্গে দেখাও করতে পারছি না।”

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি। বিদেশিদের মধ্যে ৭ জন জাপান, ৯ জন ইতালি ও ১ জন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি।

১০ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে