ঢাকা : এবার অর্থমন্ত্রীকে একহাত নিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষকরা। বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনরত ‘শিক্ষকদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে’- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এই বক্তব্যকে শুধু অনভিপ্রেত নয়, অসংলগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক নেতারা।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে সই করেছেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এতে বলা হয়েছে, ‘বস্তুতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের কারণেই তিনি (অর্থমন্ত্রী) এরূপ দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন।’
তবে শিক্ষকেরা অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে সুবিচার পাবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, মাননীয় অর্থমন্ত্রী আজ (মঙ্গলবার) সংবাদমাধ্যমে শিক্ষকদের বিষয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন, যা শুধু অনভিপ্রেতই নয় অসংলগ্নও বটে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী অতীতে অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি জাতির কাছে নিজেকে ইতোমধ্যে হাস্যকর করে তুলেছেন।’
শিক্ষকেরা বলেন, ‘হলমার্ক কিংবা বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি তার (অর্থমন্ত্রী) কাছে কোনো ঘটনাই না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলাবাহুল্য, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়ে থাকে; যে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের অনুমোদন রয়েছে। উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ সাধন ও প্রকৃত মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং শিক্ষকদের মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকেরা যেকোনো গঠনমূলক প্রস্তাব মেনে নেবেন। কিন্তু গণমাধ্যমে মাননীয় মন্ত্রীর কথায় মনে হয়েছে তিনি জনগণের প্রতিনিধি নন-আমলাদের প্রতিনিধি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষকদের পদোন্নতিকে ঘিরে তিনি যখন দুর্নীতির কথা বলেন, অন্যদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারিকে তিনি কিছুই মনে করেন না এবং বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি অত্যন্ত হালকাভাবে দেখেন, তখন তার মুখে অন্তত জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকদের বিষয়ে এরূপ অবাঞ্ছিত বক্তব্য নিতান্তই অশোভন। অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের বিষয়ে আরো কিছু অসংলগ্ন মন্তব্য করেছেন-এসব মন্তব্যের প্রতি উত্তর দেওয়াকেও আমরা সংগত মনে করি না।
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ