বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৩৬:৪৫

নোংরা রাজনীতি ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হোন : ইমরান

নোংরা রাজনীতি ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হোন : ইমরান

ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ঈদের দিন শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা এবং সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগে ১৫ জুলাই শুক্রবার নাগরিক সমাবেশ ও পতাকা মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।

এর আগে গত ৪ জুলাই গুলশান হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক সমাবেশ এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে গণজাগরণ মঞ্চ।

শোক সমাবেশে দেশের এ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন কর্তৃক জঙ্গীদের প্রশ্রয়দানকে দায়ী করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।  তিনি বলেন, বিত্তবান জঙ্গীরা গ্রেফতার হলে হয়ে যান প্রশাসন আর এমপি-মন্ত্রীদের ভাই-ভাতিজা বন্ধুর সন্তান।  

তিনি বলেন, এর ফলে এরা গ্রেফতার হলে দুদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান।  বিচার বিভাগও এদের কাছে অসহায়।

ইমরান বলেন, আমরা জানতে চাই, এই জঙ্গীদের প্রশ্রয়দাতা কারা? আমরা দেখেছি জঙ্গীরা সবসময় নিজেদের পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে আসছে।  এদের পরিবারের সবাই সমাজের উঁচুতলার মানুষ।  এরা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে বলেই আজ দেশের এ পরিণতি।

তিনি বলেন, আমরা চাই সরকার জঙ্গীবাদ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করে আন্তরিকভাবে সমাধান করবে।  অতীতের ভুলগুলো স্বীকার করে সামনে এগুতে চাইলে জনগণের সমর্থন পাওয়া যেতে পারে।

আগামীকাল ১৫ জুলাই বিকেল ৪টায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ স্লোগানে শুরু হবে নাগরিক সমাবেশ ও পতাকা মিছিলের কর্মসূচি।

এ প্রসঙ্গে গতকাল ১৩ জুলাই গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার তার ফেসবুক পেজে এক সরাসরি ভিডিওতে বলেন, গুলশান রেস্টুরেন্টে যে হামলার ঘটনা ঘটলো, আমরা কেউই কখনো কল্পনা করিনি যে, বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।  

তিনি বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখন একদম খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে।  মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জঙ্গীবাদী দেশ যে পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিশ্বের কাছে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, বাংলাদেশও ঠিক একই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।

ইমরান বলেন, এর আগে লেখক-প্রকাশক থেকে শুরু করে শিক্ষক, ইমাম, পুরোহিতসহ একের পর এক হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, তখন থেকে আমরা সবাইকে সতর্ক করে আসছি।  কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থের বাইরে কথা বলেনি, নিজেদের লাভের জন্য জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যদি আমরা ইরাক সিরিয়ার মতো অবস্থায় না দেখতে চাই, তাহলে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।  নোংরা, জীর্ণ পুরনো দোষারোপের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছেড়ে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে।  

ইমরান বলেন, গুলশান এবং শোলাকিয়ার হামলা সরাসরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।  এ আঘাত প্রতিহত করতে এখনই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ১৫ জুলাই থেকে আমরা রাজপথে নামছি।  কেবল ঢাকা নয়, শিগগিরই সারাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায়, গ্রামেগঞ্জে কর্মসূচি থাকবে।

ইমরান বলেন, জঙ্গীবাদ-সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা-ধর্ষণ বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে।
১৪ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে