শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৩৮:০৫

গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এখন ভারতে: টাইমস অব ইন্ডিয়া

গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এখন ভারতে: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজ ডেস্ক : গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে ছয় তরুণ জঙ্গীর হামলার পরে জানা গেছে গত কয়েক মাসে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছে শতাধিক তরুণ। তখন ১০ তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয় তাদের সন্তান নিখোঁজ থাকার কথা।

পরে বিশেষজ্ঞরা ধারণা দেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় প্রভাবিত হয়ে এদের বড় অংশই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। আর তাদের বড় একটা অংশই ভারতের বিভিন্ন জঙ্গী আস্তানা ও সমর্থকের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে পারে।

আবার অন্য দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসা জঙ্গিদের অনেকেরও ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে।

ভারতে জঙ্গীদের অবস্থানের এই ঈঙ্গিত দিয়েছে সে দেশে আটক সন্ত্রাসী মুসা। মুসা জানায়, ভারতে থাকা ‘ওস্তাদের’ নির্দেশে ন্যুনতম তিনজনকে হত্যার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিল সে।

মুসার এমন বক্তব্যের পরে গুজব শোনা যাচ্ছিল, গুলশান হামলার মূল হোতা ভারতেই অবস্থান করছে। তবে এই গুজবের তেমন কোনো ভিত্তি ছিল না। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশের একটি পত্রিকার সংবাদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গুলশান হামলার মূল হোতা এখন ভারতেই অবস্থান করছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, কিছু দিন আগে আটক জঙ্গী মুসার স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, সুলেমান নামের একজন গুরুকে সে মালদহে রেখে আসে। সেখানে তিনি তরুণদের দীক্ষা দিতেন। মুসা নিজেও সেখানে তার সঙ্গে সাত মাস অবস্থান করে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পত্রিকাটির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা জেনেছেন, গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এখন পশ্চিমবঙ্গের কোনো জেলায় অবস্থান করছেন।

এমন ধারণার যুক্তিতে বলা হয়েছে, গুলশান হামলায় জড়িতদের একজনের মুসার সাথে সখ্যতা ছিলো সেটা জানা গেছে।

এছাড়া সম্প্রতি জানা গেছে জঙ্গীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী জেলায় অবস্থান করতো। সেখান থেকে তারা নিয়মিত সুলেমান বা মুসার সঙ্গে যোগাযোগ করতো।

এদিকে গত ৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশে নিখোঁজ সন্দেহভাজন তরুণদের খোঁজে বাংলাদেশ লাগোয়া মালদহ সীমান্ত এলাকায় তল্লাসি শুরু করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সঙ্গে  যোগ দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

সীমান্ত লাগোয়া ভারতের গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাসি। নিখোঁজ তরুণদের পাসপোর্ট ও ছবি দিয়ে লাগানো হয়েছে পোস্টার। বড়সড় কোনো নাশকতার আগে এদের আটক করাই এখন দুদেশের গোয়েন্দাদের প্রধান লক্ষ্য।

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-ও সীমান্ত এলাকায় কড়া নজর রাখছে। বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে বিএসএফকে।
১৫ জুলাই. ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে