বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৩৬:২৪

আইএসে নিয়োগকারী বাংলাদেশি কাওসারকে খুঁজছে পুলিশ!

আইএসে নিয়োগকারী বাংলাদেশি কাওসারকে খুঁজছে পুলিশ!

ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যার সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন এক প্রবাসী বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।  

পুলিশ তার খোঁজ করছে।  বাংলাদেশ সরকার প্রথমে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার করলেও বর্তমানে আইএসের সম্পৃক্ততা আছে বলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।  সূত্র : ডেইলি মেইল

বাংলাদেশের পুলিশের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, আইএস সন্দেহভাজন জড়িতদের মধ্যে একজনের নাম আবু তারেক মোহাম্মদ তাজউদ্দিন কাওসার।  সন্দেহভাজন এই জঙ্গি আইএসের নিয়োগকারী।  

তিনি এক যুগ ধরে অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন।  তিনি অষ্ট্রেলিয়ায় থেকে বাংলাদেশের তরুণদের আইএসে নিয়োগ দেন।  কাওসারসহ আরো দুজন আইএসের সন্দেহভাজন নিয়োগকারী বলে গত বছর ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।

এদিকে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাওসার অষ্ট্রেলিয়ার কোথায় আছে দেশটির ফেডারেল পুলিশ এ বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো দেয়নি।  পুলিশ কোনো মন্তব্য না করলেও এটি গোয়েন্দাদের বিষয় বলে এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়।

কাওসার লক্ষীপুরের বাসিন্দা।  তবে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।  ১ জুলাই রাতে রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক পাড়া গুলশানে স্প্যানিশ হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ভারত ও জাপানের ১৮ জন নাগরিকসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলায় ৫ জন জঙ্গি অংশগ্রহণ করে।

আর্টিজানে হামলা করে হত্যার দায় আইএস স্বীকার করলেও শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশ স্থানীয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিরা হামলা করেছে বলে জানায়।  প্রথমে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গ্রুপ জড়িতের বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে কিছুটা মত পরিবর্তন করে।  বিষয়টি নিয়ে রীতিমত তদন্ত করছে।

ঢাকার গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন জিহাদী দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থী।  আক্রমণকারীরা উচ্চ শিক্ষিত ও সমাজের বিত্তবান বংশের সন্তান।  এর আগে বাংলাদেশে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে বলে গুঞ্জন ছিল।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরামর্শক শাহাব ইনাম খান মনে করেন, গুলশান হামলায় আইএস জড়িত রয়েছে।  এখানে প্রমাণ হিসেবে অনেক তথ্য পাওয়া যায় যে, ওই হামলায় আইএস জড়িত।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে ওই হামলায় আইএস জড়িত এ ধরনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ওই ঘটনার নতুন করে তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া গেছে।  কারণ বিভিন্ন পরিবারের খোঁজ না পাওয়া সন্তানরা সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

শাহাব ইনাম খান বলেন, কাওসারের তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে তামিম আহমেদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকির তদন্ত করতে হবে।  তাদের মধ্যে একজন কানাডা ও অন্যজন জাপানে পড়াশোনা করেছেন।  এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের  যোগসাজশের প্রবণতার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
২০ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে