সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:০৪:৫০

পুলিশি বাধায় শাহবাগে অবস্থান শিক্ষার্থীদের

পুলিশি বাধায় শাহবাগে অবস্থান শিক্ষার্থীদের

ঢাকা : মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। এরপর ভর্তিচ্ছুরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসার পথে ফের বাধা দেওয়া হয়।

ফলে ঢাকার শাহবাগ থানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে পূর্বঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচির জন্য সকাল ১০টার দিকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে জড়ো হন। তারা এ সময় ‘যদি হয় প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট রি অ্যাকজাম’— এসব স্লোগান দেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগে এসে পৌঁছালে প্রচুর পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দেয়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার সামনে বসে পড়েন। পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকেরাও রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তাদের প্রেসক্লাবে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তাদের প্রেস ব্রিফিং করার কথা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে একযোগে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দেশের ১০টি জেলায় এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রংপুর থেকে তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে আটক করে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, একদিকে সরকার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে। অন্যদিকে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে। প্রশ্ন ফাঁস যদি না হয়ে থাকে তাহলে গ্রেপ্তার কেন করা হচ্ছে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে