বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬, ০৯:১৬:০৬

নিব্রাসের বন্ধু মোস্তফা কই?

নিব্রাসের বন্ধু মোস্তফা কই?

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার অন্যতম জঙ্গি নিব্রাসের ঝিনাইদহ আস্তানার কথিত জঙ্গি মোস্তাফা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকত বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসীরা।  

ঝিনাইদহের সোনালী পাড়ায় যে মেসটিতে নিব্রাস ওরফে সাঈদ ভাড়া থাকত সেই বাসার মালিক বিলকিস বেগম নিব্রাসের সহযোগীকে মোস্তফা হিসেবে চিহ্নিত করেন, যিনি নিব্রাসদের মেস ভাড়ায় সহযোগিতা করেছেন।

তার কাছ থেকে মোস্তফার যে ছবি পাওয়া যায় তা কুষ্টিয়া থেকে তোলা হয়েছে।  ছবিটি ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে সেই দোকান হতে প্রিন্ট করানো হয়।  

ফটো স্টুডিওতে খবর নিতে গেলে তেমন কিছু জানেন না বলে একটি অনলাইন পোর্টালকে জানান স্টুডিও মালিক।  তবে ছবিটি তারই তোলা বলে জানান। তিনি এও জানান, ছেলেটি স্থানীয় কেউ নয়, সম্ভবত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জানান, গুলশান হামলার পর প্রশাসনের কেউ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছেন না।  একটি ছবি দেখে নাম ঠিকানা ছাড়া ১৪ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্য থেকে কাউকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।

গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় অংশ নেয়া নিব্রাস ইসলাম ঝিনাইদহ সোনালীপাড়ার একটি ছাত্রাবাসে ৪ মাস অবস্থান করেছিলেন বলে জানা গেছে।
 
ওই ছাত্রাবাসের চারটি রুমে ৮ জন ছাত্রের সঙ্গে তিনি থাকতেন।  ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জঙ্গি হামলায় অংশ নেয়া নিব্রাস ইসলামের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন ছাত্র তাকে চিনতে পারে।  প্রতিদিন ছাত্রবাসের পাশের একটি খেলার মাঠে তিনি ফুটবল খেলতেন বলে জানিয়েছে ওই পাড়ার ছাত্র নওরজামিন
বর্ষণ।
 
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ সোনালী পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য কওছার আলীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি মেস করে ছাত্ররা।  

চার মাস আগে নিব্রাস ইসলাম মেসের পাশের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে মেসে ওঠে।  ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ওই ৮ জন ছাত্র চলে যায়।  এরপর থেকে আর ফেরেনি তারা।
 
ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নওরজামিন বর্ষণ জানান, তারা প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রাবাসের পাশের একটি ফুটবল মাঠে খেলা করতেন।  

৪ মাস আগে নিব্রাস নিজেকে সাইদ নামে পরিচয় দিয়ে ওই মাঠে যেতেন এবং তাদের সঙ্গে খেলা করতেন।
 
নিব্রাস ইসলাম নিজেকে সাইদ পরিচয় দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য মেসে থাকত বলে সবাইকে বলতেন।  তিনি ভালো ইংরেজি বলতে পারতেন।  গুলশান ঘটনার পর ছবি দেখে জানতে পারে এ সাইদই যে নিব্রাস।
 
মেসের মালিক কাওসার আলীর স্ত্রী বিলকিস নাহার বলেন, ঈদের আগের দিন রাত ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একদল লোক তাদের বাসায় আসে।  তারা রাত ৩টা পর্যন্ত বাড়ি ও মেস তল্লাশি করে।
 
বিলকিস নাহার জানান, মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান দুজনকে মেসে তোলেন।  তারা কি করতো বা কোথা থেকে এসেছিল কিছু বলতে পারেননি।
২০জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে