বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬, ০৩:২৪:৩৪

তারেক রহমানকে ধরে আনা হবে : আইনমন্ত্রী

 তারেক রহমানকে ধরে আনা হবে : আইনমন্ত্রী

ঢাকা : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লন্ডন থেকে ধরে হবে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু লন্ডনের সাথে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই, তাই তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ধরে আনা হবে।  যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করে হলেও আনা হবে।

প্রসঙ্গত, অর্থ পাচারের দায়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।

একই মামলায় নিম্ন আদালতে দেয়া তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

মুদ্রাপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের শুনানি করে ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

তবে তারেক রহমান বাংলাদেশে এসে আত্মসমর্পণ করে ‘সাজা খেটে’ আপিল করতে পারবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  

অন্যদিকে পলাতক তারেক আত্মসমর্পণ করলে বা তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে সেই সময় থেকে তার দণ্ড কার্যকর হবে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে।

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আছেন।  শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাসহ আরো দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে কয়েকডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য। জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মামুন কারাগারেই আছেন।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো মামলা থাকায় দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করলে তিনি জামিন পাবেন কি-না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়ার নামেও তো অনেক মামলা আছে।  তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলে তারেক রহমান পাবে না কেন?

অর্থপাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। বিচার শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন।

অপর আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

বিচারিক আদালতে তারেকের খালাস পাওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান প্রথমে বিচারককে প্রভাবিত করে খালাস পান।  এ ঘটনার দু’দিন পর ওই বিচারক দেশ ছেড়ে সপরিবারে মালয়েশিয়ায় চলে যান।  পরে তা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।

এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
২১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে