ঢাকা : দেশের জন্য শেখ হাসিনা যা হারিয়েছেন তা কেউ হারায়নি। তিনি যা দিয়েছেন তা কেউ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সোমবার এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘গৌরব ও সাফল্য’ শেখ হাসিনা-কৃষি, কৃষক ও কৃষকলীগ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। এসময় দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে। তাই এই প্রথম দুজন বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের বিচারক নিযুক্ত হতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অত্যন্ত নিখুঁতভাবে হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারই এ দেশে সর্বপ্রথম বেসরকারি পর্যায়ে টিভি চ্যানেল দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে বিনা পয়সায় ফাইবার অপটিক্সস পাওয়া গেলেও গোপনীয়তার দোহাই তুলে নেয়া হয়নি। যা পরে আমাদের পয়সা দিয়ে নিতে হয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার অনন্য অবদানে আজ গ্রামের মেয়েরাও পড়াশুনায় এগিয়ে এসেছে। এতিমখানায় এতিমের সংখ্যা কমে গেছে।
শেখ হাসিনা যা করেন তা হোমওয়ার্ক করেই করেন। এ কারণে কর্মযজ্ঞ শুরু হলে কোনো বাধাই তার সামনে টেকে না।
তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় আমরা জীবিত বঙ্গবন্ধুর ৬৯তম জন্মদিন পালন করতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তার কন্যা শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন পালন করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মোতাহার হোসেন মোল্যা। সংগঠনের সহ সভাপতি ওমর ফারুক দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আজ পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। বিশ্বের মানুষ এখন আর আমাদের ভিক্ষুকের জাতি মনে করে না। এখন সম্মানের দৃষ্টিতে দেখেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, আশালতা বৈদ্য, আকবর আলী, জাতীয় সংসদের সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামছুল হক রেজা প্রমুখ।
২৮, সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম