মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬, ০৯:০১:০৯

কল্যাণপুরের ওই ভবনের ৬তলার সায়েম যা বললেন

কল্যাণপুরের ওই ভবনের ৬তলার সায়েম যা বললেন

ঢাকা : রাজধানীর কল্যাণপুরে মঙ্গলবার যৌথ বাহিনীর অভিযান চলাকালে প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ আবু সায়েম আশরাফ।  ওই ভবনের ছয়তলার বাসিন্দা তিনি।

যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হলেও তারা বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি পাননি।  মঙ্গলবার বেলা দুইটা পর্যন্ত আটকা পড়ে ছিলেন সায়েমসহ ওই ভবনের অন্য বাসিন্দারাও।

বেরোনোর পর গণমাধ্যমকে আবু সায়েম বলেন, তারা ৯ জন ভবনটির ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।  এর নিচে পঞ্চম তলায় যৌথবাহিনী অভিযান চালায়।  ওই রাতে ৯ জনের মধ্যে সাতজন বাসায় ছিলেন।  বাকি দুজন সেদিন বাসায় আসেননি।  আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন তারা।

তিনি বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন।  হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।  বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী ঘটেছে।

সায়েম বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম, পাশের ভবনে মারামারি বা অন্য কিছু হতে পারে।  প্রথমে তিনটা গুলির শব্দ পাই।  এরপর অনবরত গোলাগুলির শব্দ। গোলাগুলির সময় মনে হচ্ছিল মারা যাব।  আর বাঁচব না।

পুলিশের ভাষ্য, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালায় ও ককটেল নিক্ষেপ করে।  ওই ভবনে ছিল ১১ জঙ্গি।  এর মধ্যে সোমবার রাতে ভবনে ঢোকার সময় পুলিশের গুলিতে আহত এক জঙ্গিকে আটক করা হয়।  আরেকজন পালিয়ে যায়।

কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে।  অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ আটক যুবকই আটজনের পরিচয় জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের একটি সূত্র।

নিহতরা হলেন রবিন, অভি, আতিক, সোহান, ইমরান, তাপস, ইকবাল ও সাব্বির।  তবে অপর আরেকজনের পরিচয় জানাতে পারেনি গুলিবিদ্ধ যুবক।

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সাংবাদিকদের জানান, হাসান (২০) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।  রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযানের সময় রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাঁচ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিংয়ের চারতলা থেকে দুই যুবক লাফিয়ে পড়ে। পরে পুলিশের গুলিতে আহত হয় যুবক।

২৬ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে