নিউজ ডেস্ক: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগ আর থাকছে না। এখন সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম নিবন্ধন করা যাবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্য অধিবেশন শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিম নিবন্ধনে যে কোনো জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে যারা বেশি সিম নিবন্ধন করেছেন, অপারেটরদের মাধ্যমে এসএমএস দিয়ে পাঁচটির বেশি সিম রাখা যাবে না বলে তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
ফয়জুর রহমান জানান, গ্রাহক তার পছন্দমতো যে কোনো একটি অপারেটরের অথবা ভিন্ন ভিন্ন অপারেটরের পাঁচটি সিম রাখতে পারবেন। অপরাধমূলক কাজে সিম ব্যবহার বন্ধ করতে গতবছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে (বায়োমেট্রিক পদ্ধতি) সিম নিবন্ধন চালু করে সরকার।
এই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ৩১ মে রাত ১২টায়। পরে জুন মাসের প্রথম দিকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানায়, ১১ কোটি ৬০ লাখের বেশি সিম নিবন্ধিত হয়েছে।-যুগান্তর
২৭ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ