ঢাকা : রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মঙ্গলবার রাতে নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৭ জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তারা হলেন জোবায়ের হোসেন, সেজাদ রউফ অর্ক ওরফে মরক্কো, আব্দুল্লাহ, আবু হাকিম নাঈম, তাজ -উল হক রাশিক, আকিফুজ্জামান ও মতিয়ার রহমান।
জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
তিনি জানান, সাব্বিরুল হক কনিকের স্বজনরা ছবি দেখে পুলিশকে কনিকের পরিচয় জানালেও জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে এ জঙ্গির আঙুলের ছাপ মেলেনি।
জানা গেছে, সাব্বির ছয় ও জোবায়ের চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। জোবায়েরের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদি এলাকায়। নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিল জোবায়ের।
সাব্বিরের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুণছড়া ইউনিয়নে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক অ্যান্ড ব্যাঙ্কিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
সেজাদের বাড়ি ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ব্লক-সি, ৩০৪ নম্বর বাড়ি। তার বাবার নাম তৌহিত রউফ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ছাত্র ছিলেন তিনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী ছিলেন। শাহবাগ থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি ছিলেন তিনি। গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গি নিবরাসের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেজাদ র্যাব ঘোষিত নিখোঁজদের সর্বশেষ ৬৮ জনের তালিকায়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় তার বাবা সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেন।
ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, তিনজন সেজাদ রউফ, জুবায়ের হোসেন ও সাব্বিরুল হক কনিকের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা ডিএমপির প্রকাশিত ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মর্গে গিয়ে স্বজনদের লাশ শনাক্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। লাশ শনাক্তের পর জঙ্গিদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
২৭ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম