নিউজ ডেস্ক : দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনো দেশি ও বিদেশি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
রোববার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে জাতীয় বৃক্ষরোপন ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি-২০১৬ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ শামলাপুর থেকে এক সৌদি নাগরিক ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) নেতা ও কক্সবাজার লিংক রোডস্থ ইমাম মুসলিম (রা.) ইসলামী সেন্টারের পরিচালক হাফেজ ছালাহুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করে বিজিবি।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিজিবি প্রধান বলেন, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তারা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিভিন্নভাবে উসকানি দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়া তারা সেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন।
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিওপি স্থাপন কর অরক্ষিত এলাকায় টহল ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কক্সবাজারের মতো গহিণ অরণ্যে যাতে করে কোনো জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আশ্রয় নিতে না পারে। আমরা শক্তভাবে বলতে চাই, আরএসও ও বিদেশি কোনো অপশক্তিকে বাংলাদেশের মাটিতে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। তাদের কোনো ধরণের কার্যক্রম বাংলাদেশের মাটিতে সংঘঠিত হতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশের কোনো সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি যদি প্রতিবেশি দেশে অবস্থান নেয়, নাশকতার চেষ্টা করে। তবে বাংলাদেশ সরকার চাইলে, সেই দেশ থেকে তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখিন করা হবে। সে ধরনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বিজিবির রয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সামরিক ও অসামরিক কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম