নিউজ ডেস্ক : বন্ধ করে দেয়া ‘পিস স্কুল’গুলোর শিক্ষার্থীদের দায়দায়িত্ব সরকার নেবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসব শিক্ষার্থীকে যারা এই পথে এনেছে সেই সব স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এসব শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইয়ং চেঞ্জ মেকার্স কোয়ালিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, পিস স্কুলগুলোর লেখাপড়া, মানসিকতা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এই স্কুলগুলো যারা পরিচালনা করছেন, তারা স্বাধীনতার চেতনার বিরোধী শক্তি।
মন্ত্রী আরো বলেন, পিস স্কুলের শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নেয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সারা দেশে পিস স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়ার একদিন পর এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে আরও তদন্তের কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।
সারা দেশে এ স্কুলের অনেকগুলো শাখা চালু রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন নেই। মিডিয়া এবং পুলিশের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ।’
এসব বিবেচনায় নিয়ে পিস স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম। বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’
‘ওখানে যারা পরিচালনা করছেন তারা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার বিরোধী শক্তি। তারা এখানে এমনই মনোভাব তৈরি করছেন যেগুলো জঙ্গিবাদ তৈরির ক্ষেত্রে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিপথগামী করতে উৎসাহিত করে। যার জন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আমরা চালাতে দিতে পারি না।’
ভারতের বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের পর অনুমোদনহীন পিস স্কুলগুলোও মঙ্গলবার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনুমোদন ছাড়া কেউ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ কোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পিস স্কুল বন্ধ রেখেছি, আরও তদন্ত করে সঠিকগুলো বের করে ব্যবস্থা নেব। আমরা এগুলো সম্পর্কে জেনে-বুঝে তারপর করণীয় স্থির করব।’
যে কোনো প্রতিষ্ঠান চালানোর সময় জাতীয় ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংস্কৃতি, জাতীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধসহ ‘সবকিছু’ ধারণ করতে হবে বলেও জানান নাহিদ।
গুলশান হামলাকারী অন্তত দুজন জাকির নায়েকের বক্তব্যে প্ররোচিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠার পর গত ১১ জুলাই পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত আসে।
০৩ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম