বুধবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:১৭:১২

পরকীয়ার খেসারত, স্বামীকে খুন করায় প্রেমিক-প্রেমিকার ফাঁসি

 পরকীয়ার খেসারত, স্বামীকে খুন করায় প্রেমিক-প্রেমিকার ফাঁসি

ঢাকা : পরকীয়ার খেসারত, স্বামীকে খুন করার দায়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  ১০ বছর আগে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়ারলেস সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে (৪৯) হত্যার দায়ে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসির রায় দিয়েছেন ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার দুপুরে এ রায় দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোসাম্মৎ ইয়াসমিন ফেরদৌস শিল্পী ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।  তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর থেকেই পলাতক।  

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন এ তথ্য জানান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজ্জাক সরকারের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার দারিকুষ্টি গ্রামে।  ২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন আগারগাঁও নিউ কলোনি বি-৫/ সি-১ নম্বর বাসায় চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে রাজ্জাককে শ্বাসরোধ ও শরীরে আঘাত করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা।  

নিহতের ভাই সাইদুর রহমান বিটন এ ঘটনায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়।

শিল্পী ও সাইফুল দুজনে মিলে রাজ্জাককে খুন করেন বলে ঢাকার একজন মহানগর হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাকিমের কাছে জবানবন্দি দেয় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিহতের দুই শিশুকন্যা রুচিতা ও সূচিতা।

সে বছরের ১১ অক্টোবর পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ মতিয়ার রহমান। মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে পরের বছর অভিযোগ গঠন করা হয়।  বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

রায়ের বিবরণে বলা হয়, ঘটনার রাতে সাইফুলকে আগারগাঁওয়ের বাসার খাটের তলায় লুকিয়ে রাখেন শিল্পী।  দুই শিশু সন্তানের সামনে তাদের মা ও তার গোপন প্রেমিক মিলে হত্যা করেন রাজ্জাককে।  গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে শিল্পী বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে গোপনাঙ্গ থেতলে দেন।  সাইফুল বুকের ওপর চেপে বসেন।

দণ্ডিতরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
৩ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে