ঢাকা : হল নির্মাণের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা চেয়ে আন্দোলন শুরু করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছে।
রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ও ব্যানার টাঙিয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
জবি দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও কোনো আবাসিক ছাত্রাবাস নেই। জগন্নাথ কলেজ থাকাকালীন সময় কিছু ছাত্রাবাস থাকলেও সেগুলোও বেদখল হয়ে গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি আবাসিক হলও পায়নি জবি শিক্ষার্থীরা। ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষকদের আবাসান সংকট, পরিবহন সংকট থেকে শুরু করে নানা রকম সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তারা বলেন, আমরা একই মায়ের পেটের সন্তান হয়েও আদর ভালোবাসা পাচ্ছি না। দেশে এমন কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে আবাসিক সুবিধা নেই। মাত্র ১১ একর জায়গার ওপর আমাদের ২০ হাজার শিক্ষার্থী, সাড়ে ৬শ’ শিক্ষকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মস্থল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সামান্য এ জায়গায় এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটিকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জে নেয়া হয়েছে। ওই জায়গা এখন পার্কসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।
তারা বলেন, একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাস নির্মাণে ওই জায়গাটি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। তাই আমাদের দাবি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রাবাসসহ একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য দেয়া হোক।
জানা গেছে, পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর ওই জমি পাওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আবেদন করেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কারাগারের জমিতে একটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, ভোরে ও সকালে হাঁটার জায়গা, একটি শিশুপার্ক, কারাগারের মূল চত্বরের বাইরে পতিত জায়গাতে সিটি করপোরেশনের দোকান এবং জাতীয় চার নেতার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে চায়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বঙ্গবন্ধুর নামে হল নির্মাণ এবং জাতীয় চার নেতার নামে আরো ৪টি হল নির্মাণ করার জন্য কারাগারের জায়গা দেয়া হোক। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
৭ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম