স্পোর্টস ডেস্ক : পড়াশোনা করে বড় হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। পুণেতে এসেছিলেন সেই উদ্দেশ্যেই। মহারাষ্ট্র অ্যাকাডেমি ফর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সুযোগ পাওয়ার পর তিনি ধরে নিয়েছিলেন, এবার আর ফুটবল হবে না তার৷ যা করতে হবে পড়াশোনা করেই৷
এরপর কলেজ দলে সুযোগ হয় তার৷ টুকটাক প্র্যাকটিসও চলছিল৷ প্রচুর হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ত শিলংয়ের বাড়িতে ফেরার সময় ইউগেনেসন লিংডোর মাথায় ঘুরতো ফুটবল আর ফুটবল৷
অবশ্য শিলংয়ে থাকাকালীন কখনো ফুটবল ছাড়া কিছু ভাবেননি ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত দেশের সেরা ফুটবলার৷ লিংডো বলছিলেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ঠিকই, কিন্ত্ত পড়াশোনায় আমার মন বসত না৷ ফলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা হয়নি তার।
তিনি বলছিলেন, এরপর একদিন শিলং লাজং থেকে ডাক পেলাম৷ ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে সোজা ফুটবলে। আমার বাবাও রাংদাজিয়েদের সভাপতি ছিলেন৷ ছোটবেলা থেকেই ফুটবলে যোগাযোগ।
লিংডো নিজের ক্যারিয়ারে পৌঁছনোর জন্য ধন্যবাদ দেন পুণে এফসিকে৷ শিলংয়ের এই ফুটবলার এবার আইএসএলে এফসি পুণের হয়ে চুক্তি করেছেন ১.০৫ কোটি টাকার বিনিময়ে৷
লিংডো বলছিলেন, আমি আসলে পুণেতে পড়াশোনো করতেই এসেছিলাম৷ এখানেই যে ক্যারিয়ারের বড় প্রস্তাবটা পাব তা কখনো আশা করিনি৷ এ দেশের বেশির ভাগ বাবা-মা ছেলেমেয়েদের ফুটবলে আসতে দিতে চান না৷ তবে আমার এই চুক্তি নিশ্চয়ই সেই সব বাবা-মাকে প্রেরণা জোগাবে৷ ফুটবলে আসতে উৎসাহ যোগাবে।
৩০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম