রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬, ০৬:৪৫:১৯

ভারতের ঘরে তবু পদক আসে! কী কারণে পদকশূন্য থেকে যায় বাংলাদেশ?

ভারতের ঘরে তবু পদক আসে! কী কারণে পদকশূন্য থেকে যায় বাংলাদেশ?

স্পোর্টস ডেস্ক:  বিশ্বের অষ্টম জনবহল দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ। ১৯৮৪ থেকে অলিম্পিক্সের আসরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেখতে দেখতে ৩২টা বছর কেটে গিয়েছে। অলিম্পিক্সের আসর থেকে আসেনি একটি পদকও। এমনকী পদক জিততে পারে এমন পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা।

এবার প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গল্‌ফার সিদ্দিকুর রহমান সরাসরি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল দেশে। গল্‌ফে ৫৯ জনের মধ্যে ৫৮তম হয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। অলিম্পিক্স থেকে কেন পদক পায় না বাংলাদেশ?  প্রশ্নটির উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন  জেফ আইজেনবার্গ। ইয়াহু স্পোর্টসে তার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ১৯৮৪-র লস এঞ্জেলস অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রথম অলিম্পিয়ান সাইদুর রহমান ডন বলেছেন, কীভাবে দৌড়তে হয়, তা তাঁকে শেখানোর কেউ ছিলেন না সেই সময়ে। ওয়েট ট্রেনিং, ধৈর্য ধরলে কীভাবে এগনো সম্ভব, তা শেখানোর মতো কাউকেই পাননি তিনি। অন্যদের দৌড় দেখতেন তিনি। বিভিন্ন অ্যাথলিটের বই পড়ে শিখতেন।  

ডন আরও জানান, সরকার ক্রীড়াখাতে অর্থ ব্যয় করলে ছেলেমেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশও পদক জিততে পারবে তাহলে। ডনের স্বপ্ন কি দিবাস্বপ্ন হয়েই থাকবে? ১৯৮৪-র পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। আগামীদিনে যে অলিম্পিক্সের আসর থেকে পদক জিতবে, এমন নীলনক্সাও তৈরি করেনি বাংলাদেশ।   আইজেনবার্গের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,  ক্রিকেটের প্রতিই বাংলাদেশের মানুষের প্রবল ভালবাসা। স্পনসররা এই খেলাতেই ঝুঁকেছে। বাংলাদেশ সরকারও ক্রিকেটেই বেশি বিনিয়োগ করছে। ক্রিকেটই বাংলাদেশের একমাত্র খেলা। ক্রিকেট দেখতেই মানুষ ভিড় করেন গ্যালারিতে। ক্রিকেটাররাই নায়কের মর্যাদা পান দেশে। অনেকটা ভারতের মতোই অবস্থা আর কী! ভারতেও তো প্রধান খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেটকে ঘিরে ভারতের মানুষ স্বপ্ন দেখেন। বাকি খেলাকে গুরুত্বও দেওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে মাইনর স্পোর্টস থেকে একজন বা দু’ জন পদক জিতে দেশে ফেরেন। কিন্তু তাঁদের  যে ধ্রুবতারা ধরে এগোবে গোটা দেশ, সেটা হয় না। বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে নেই কোনও ধ্রুবতারা। ফলে পদক আসে না দেশে। -এবেলা

২১আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/ইসলাম/নাঈম/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে