স্পোর্টস ডেস্ক : এক সব্জি বিক্রেতার ঘরে জন্ম নিয়ে পূজা স্বপ্ন দেখেছিলেন বড় হ্যান্ডবল প্লেয়ার হওয়ার। এখানেই থেমে ছিল না তার স্বপ্নের উড়ান। বাকিদের মতো শুধু খেলাকেই বেছে না নিয়ে পড়াশুনোও করতে চেয়েছিলেন ভারতের পঞ্জাবের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা এই মেয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ঝড়ে গেল অকালেই। মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে পূজা বুঝিয়ে গেলেন আরো কত পূজা ছড়িয়ে রয়েছেন দেশের আনাচ-কানাচ। যাদের খবর কেউ রাখে না। যাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিও যে ভাবে বছর ঘুরতেই বদলে যায় দাবিতে।
২০ বছরের পূজা যখন পাতিয়ালার খালসা কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তখন তাকে বিনা খরচেই থাকা-খাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে পৌঁছতেই কলেজ কর্তৃপক্ষের অবস্থান বদলে যাবে কে ভেবেছিল। অনেক অনুরোধের পরও যখন তারা কোনো কথাই শুনল না তখন জীবন দিয়ে প্রতিবাদের কথা ভাবলেন পূজা। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে বিস্তারিত জানিয়ে গেলেন। জাতীয় স্তরের এই হ্যান্ডবল প্লেয়ার তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি আমার জীবন শেষ করে দিচ্ছি কারণ আমার কাছে হস্টেলের খরচ বহন করার মতো টাকা নেই। বাড়ি থেকে রোজ কলেজ যেতে ১২০টাকা খরচ, সেটাও নেই। আমার মতো গরিব মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করা হোক।’
চার পাতার সুইসাইড নোট ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পূজার পরিবার। যেখানে পূজা তার মৃত্যুর জন্য তার কোচের দিকেও আঙুল তুলেছেন। ‘হস্টেলে ঘর দেয়ার ব্যাপারে আমার কোচ সবার আগে বেকে বসেন। এবং আমাকে বাধ্য করেন রোজ বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে। যার জন্য আমাকে প্রতিমাসে ৩,৭২০ টাকা ব্যয় করতে হত। আমার বাবার পক্ষে সেটা দেয়া সম্ভব ছিল না।’
২০ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই