উৎপল শুভ্র : জনিপ্রয়তায় নেইমারের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবেন না। তবে ব্রুনো রেজেন্দের নামও ব্রাজিলে কমবেশি সবাই জানে। এই একটু আগে আলিঙ্গনাবদ্ধ হলেন তারা দুজন। এই অলিম্পিকে সোনাজয়ী দুই অধিনায়ক। একজন ব্রাজিল ফুটবল দলের অধিনায়ক, অন্যজন ভলিবলের।
আগের দিন ফুটবলে সোনা জয়ের আনন্দে ভাসছে এখন ব্রাজিল। মারাকানায় সেই জয়ের নায়ক নেইমার চলে এলেন মারাকানাজিনহোতে। ব্রুনো রেজেন্দদের উৎসাহ দিতে। তাতে ভালোই কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ফুটবলের পর ভলিবলের সোনাও জিতল ব্রাজিল। সেটিও ফাইনালে ইতালিকে সরাসরি সেটে (২৫–২২, ২৮–২৬, ২৬–২৪) হারিয়ে।
অবসর থেকে সার্গিও দুত্রা সান্তোসের ফিরে আসাটাও সার্থক হলো। ৪১ বছর বয়সী এই লিবেরো গত তিনটি অলিম্পিকেই ব্রাজিল দলে ছিলেন। তিনটিরই ফাইনাল খেলেছে ব্রাজিল। কিন্তু সোনা জিতেছে শুধু একবার। সেটি জিতেছিল এথেন্সে, বেইজিং ও লন্ডনে পরের দুটি অলিম্পিকে ফাইনালে হেরে জিতেছে রুপা।
ব্রাজিলিয়ানরা অবশ্য একদমই ‘রুপা জেতা’ বলেন না, বলেন ‘সোনা হারানো’। দুত্রা সান্তোস সেই হতাশাকে কবর দিতেই ফিরে এসেছিলেন অবসর ভেঙে। দেশের মাটিতে অলিম্পিক সোনা জিতে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। তাই নিতে পারছেন।
ব্রাজিলের মেয়েরা গত দুটি অলিম্পিকে ভলিবলের সোনা জিতেছিলেন। এবার তারা হেরে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালেই। ফুটবল সোনা জেতার আগ পর্যন্ত সেই দুঃখে কাতর হয়ে ছিল ব্রাজিল। তা কিছুটা হলেও কমল ছেলেরা সোনা জেতায়। ফুটবলেও এবার লেখা হয়েছে একই গল্প। মার্তারা সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছেন। পরে কানাডার কাছে হারায় গলায় ব্রোঞ্জও ঝুলানো হয়নি। সেই দুঃখ ভুলিয়েছেন নেইমাররা।
অপরূপ একটা গল্পও লেখা হলো ব্রাজিল পুরুষ ভলিবল দলের সাফল্যে। বাবা–ছেলের যুগলবন্দীর গল্প। ২০০১ সাল থেকে ব্রাজিল দলের কোচ বার্নার্ডো রেজেন্দে। অধিনায়ক ব্রুনো রেজেন্দে তারই ছেলে। বাবা–ছেলের দল এই অলিম্পিকের শেষ দিনে ব্রাজিলকে মাতিয়ে দিল ‘ডাবল’ জয়ের উৎসবে।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে ব্রাজিলে ফুটবলের সবচেয়ে কাছাকাছি এই ভলিবলই। এই দুটিতেই সোনা জয়কে ‘ডাবল’–ই বলছে ব্রাজিলিয়ানরা।
ঘণ্টা চারেক পর শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানটাকে সেই ‘ডাবল’ জয়ের উদ্যাপনই মনে হবে ব্রাজিলিয়ানদের কাছে!-প্রথম আলো
২২ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ