রক্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আত্মহত্যা খেলোয়াড়ের

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের পাঞ্জাবের পাটিয়ালায় জাতীয় স্তরে পূজা কুমারী (২০) নামে এক মহিলা হ্যান্ডবল খেলোয়াড় আত্মহত্যা করেছেন। গত শনিবার পূজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তার বাবা-মা। আত্মহত্যার আগে পূজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে রক্ত দিয়ে চার পাতার সুইসাইড নোট লিখে যান।
 
এতে তিনি জানান, দারিদ্রের জন্যই এই পথ বেছে নিতে হচ্ছে তাকে। কারণ কলেজের হোস্টেলে থাকার মতো টাকা তিনি জোগাড় করতে পারেননি। তার মতো আর্থিকভাবে দুর্বলদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধও জানিয়ে গেছেন পূজা।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর কুড়ির দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী খালসা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনামূল্যে হোস্টেলে থাকার সুবিধা না পাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তার পরিবারের দাবি।
 
পুলিশের বক্তব্য, খালসা কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের প্রধান গুরশরণ সিংহ গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। এবার কলেজের হ্যান্ডবল, কাবাডি ও হকি খেলোয়াড়রা মেডেল না জেতায় গুরশরণ তাদের হেনস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ পূজার।
 
ওই প্রধান অনেককেই হোস্টেলে ঘর দিতে অস্বীকার করেন। পূজাকে বাড়ি থেকেই কলেজে আসার নির্দেশ দেন গুরশরণ। পূজা কুমারীর সুইসাইড নোটে রয়েছে, রোজ কলেজ যেতে মাসে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি টাকা খরচ হতো এবং অত টাকা তার সবজি বিক্রেতা বাবার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
 
পূজার বাবা প্রভু চৌহান পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, হোস্টেলে ঘর না পাওয়ার পর থেকেই মুষড়ে পড়ে মেয়ে। সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বাবা ভরসা দিলেও পূজা স্বস্তি পায়নি।
 
মেয়ে এমন চরম পথ বেছে নেবে, ভাবেননি বাবা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গুরশরণের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পূজার পরিবারের দাবি, খালসা কলেজে ভর্তির সময় বলা হয়, হোস্টেলে থাকতে কোনো টাকা লাগবে না।

এক বছর সেভাবেই ছিলেন পূজা। কিন্তু এবার তাকে বিনামূল্যে থাকতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পূজাকে খেলোয়াড়দের জন্য সংরক্ষিত আসনে বিনামূল্যে ভর্তি নেয়া হয়। এই মরসুমে ভাল খেলায় তাকে হোস্টেল ছেড়ে দিতে বলা হয়।
২২ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/ এএস