স্পোর্টস ডেস্ক:চেষ্টা আর অধ্যবসায় ছাড়া কিছুই অর্জন করা যায় না। লক্ষ্যে পৌঁছাতে ত্যাগ স্বীকারের যে নিদর্শন ক্রীড়াবিদেরা রাখেন, তা অবাক করতে বাধ্য সবাইকে।
ভারতকে অলিম্পিকে রুপার পদক এনে দেওয়া শাট্লার পিভি সিন্ধুর ত্যাগ স্বীকারের গল্পটা কিন্তু নতুনদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়েই থাকছে।
সিন্ধুর কঠোর পরিশ্রম আর ত্যাগের কথা বলেছেন তাঁর কোচ পি গোপীচাঁদ। রিও অলিম্পিকের মাস তিনেক আগে থেকেই নিজের অখণ্ড মনোযোগ ধরে রাখার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছিলেন সিন্ধু। প্রিয় খাবারগুলোর স্বাদই হয়তো ভুলে গেছেন ভারতের রৌপ্য-কন্যা।
২০০৪ সাল থেকে গোপীচাঁদের অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সিন্ধু। প্রথম থেকেই মেয়েটিকে অসম্ভব পছন্দ ভারতের সাবেক এই ব্যাডমিন্টন তারকার, ‘সিন্ধুর মধ্যে পরিশ্রম আর ত্যাগ স্বীকারের প্রবণতা দেখেছি। এক দিনও দেখিনি সে দেরি করে আমার অ্যাকাডেমিতে এসেছে।
সবকিছুই কাঁটায় কাঁটায়। ১২–১৩ ঘণ্টা টানা পরিশ্রম করে যায়। মুখে কোনো বিরক্তি নেই। যা করতে বলি, তা-ই করে। ভোর চারটায় ওর দিন শুরু হয় প্রতিদিন। অলিম্পিকে রুপা জেতার পর ও এখন প্রিয় খাবারগুলো খাক। বিশ্রাম নিক। সময়টা প্রাণভরে উপভোগ করুক।’
সিন্ধু নিজেই বলেছেন, গত তিনটা মাস মোবাইল ফোন ছাড়া জীবনের কথা, ‘ওটা স্যারের (গোপীচাঁদ) কাছে ছিল।’ প্রিয় খাবারগুলোর কথাও মনে হচ্ছে তাঁর, ‘আমি আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করি। পছন্দ করি হায়দরাবাদী বিরিয়ানি। এত দিন সব বন্ধ ছিল। খাবারগুলোর স্বাদও ভুলে গেছি।’
সিন্ধু দেশকে রুপা উপহার দিয়েছেন। তিনি আনন্দিত। কিন্তু তাঁর মনে একটা খচখচানি কিন্তু আছে—ফাইনালে যদি আরেকটু ভালো খেলতে পারতেন। ৩ নম্বর সেটটা ১০-১০ হয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট নষ্ট করেই আর পারেননি। নয়তো সেদিন পোডিয়ামের সবচেয়ে উঁচু ধাপটাতেই দাঁড়াতে পারতেন।
ইনডোরে বেজে উঠত ভারতের জাতীয় সংগীত—জনগণ মন অধিনায়ক...২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে সিন্ধু এমন একটা মুহূর্তই ভারতীয়দের উপহার দিতে চান। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।-প্রথম আলো
২২ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/ এএস