স্পোর্টস ডেস্ক : বেশ কয়েকবার বাবার দেশে এসেছেন মার্গারিটা। বাংলাদেশে এসে শুধু সেদ্ধ চিংড়ি এবং মাংস খেতেন মার্গারিটা। অলিম্পিকে সোনা জয় করে ইতিহাস গড়েন তিনি।
তার বাবা বেড়ে ওঠেন বাংলাদেশে। পরে পাড়ি দেন রাশিয়ায়। তার বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন এসএসসি পাশ করেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি করেন দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।
পরে মর্গে লাশ দেখে ও ডাক্তারি পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন মামুন। এরপর ভর্তি হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ১৯৮৩ সালের শেষ দিকে বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া চলে যায়। এরপর আন্নাকে বিয়ে করে।
মামুনের একটি ছেলেও আছে। নাম ফিলিপ আল মামুন। মস্কোতে জন্ম নেওয়া ২০ বছর বয়সী মার্গারিটা গেমসের পঞ্চদশ দিনে বাংলাদেশ সময় শনিবার গভীর রাতে ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনা জেতেন।
মেরিন প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশিয়াতেই থিতু হয়েছেন। মা সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্ট আন্নার অবশ্য দীক্ষা পেয়েছেন তাদের মেয়ে। আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বাড়ি রাজশাহীর কাশিপুরে ৩ বার এসেছেন মার্গারিটা।
বাবার দেশে এসে বেশিরভাগ সময় প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে মিশে থাকতেন। ঘরের পাশে একটি পুকুর আছে। পুকুরপাড়ে আনমনা হয়ে মাছ দেখতে ভালোবাসতেন। বাংলাদেশের খাবার খেতে সমস্যা হত মার্গারিটার। এ কারণে বাংলাদেশে এসে শুধু সেদ্ধ চিংড়ি এবং মাংস খেতেন মার্গারিটা।
২৪ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর