স্পোর্টস ডেস্ক : টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৩ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারত ব্যাট করতে নেমে দু’ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ তোলার পরই বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ভারতও সিরিজ হারলো ০-১।
ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৫ ওভার খেলা হলেই ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যেত। কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারতের দরকার ছিল ২৭। দুই ওভারের মাথায় বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
আগের দিন যে রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে ফেলেছিল সাড়ে দশ ওভারে, মাত্র এক উইকেট হারিয়ে, রবিবার সেই রান তারা তুলল সব উইকেট হারিয়ে। ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে ১৪৩ রানে থামিয়ে দেন ভারতের স্পিনাররা। অমিত মিশ্র (৩-২৪), রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা (২-১১) পাঁচ উইকেট নেন। শামি (২-৩১), জসপ্রীত বুমরাহ (২-২৬) ও ভুবনেশ্বর কুমার (১-৩৬) বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফেরান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান ওপেনার জনসন চার্লসের, ২৫ বলে ৪৩। আগের দিন যিনি বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেই এভিন লিউইস এ দিন মাত্র সাত রান করেন।
মাঠ শুকনোর যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই বিপত্তি। সুপার সপার ছিল না মাঠে। পিচ ও বোলারদের রান আপে শুধু কভার ছিল। গোটা মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল না। বিসিসিআই-প্রতিনিধিরা ভারত থেকে ফ্লোরিডায় গিয়ে এই সিরিজ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার পরেও এই অতি আবশ্যক ব্যবস্থাগুলো কেন ছিল না, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুরুতে টিভি সম্প্রচারের জন্য স্যাটেলাইট লিঙ্ক না পাওয়ায় ৪০ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হয়। খেলা ঠিক সময়ে শুরু হলে ভারতের পাঁচ ওভারেরও বেশি খেলে ফেলতে পারত। ম্যাচের রেজাল্টও হয়ে যেত। ডিএল-এর হিসাব অনুযায়ী ব্যাট করে হয়তো জিততেও পারতেন ধোনিরা।
ভারত থেকে যে এক ঝাঁক ক্রিকেটকর্তা মার্কিন মুল্লুকে গিয়েছেন, তারা পরিকাঠামোর এই হাল দেখে ক্ষুব্ধ। সিএবির বিশ্বরূপ দে বলছেন, ‘সারা বছরে গুটিকয়েক ক্রিকেট ম্যাচ হয় এখানে, এমন কীই বা আহামরি হবে পরিকাঠামো?’ যার নেতৃত্বে বোর্ড প্রতিনিধিরা এই ম্যাচ আয়োজন করেন, সেই এমভি শ্রীধরকে দুষছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
২৯ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি