স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতরাণার একটা সীমা থাকা উচিত। বাজে প্রকৃতির মানুষ বিভিন্ন সময় হাজারো জায়গায় প্রতারণা করে থাকে। তাই বলে নারী সেজে নারী ফুটবল দলে খেলার প্রতারণা, ভাবা যায়! অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে একটি মুসলিম দেশ ইরানে। ইরানে মূলত ফুটবল খেলার প্রতি পুরুষ এবং নারী উভয়েরই প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে। তবে দেশটিতে ইসলামি শরিয়া আইন মেনে ফুটবল খেলা বেশ কষ্টকর। তারপরও মাথায় স্কার্ফ পরে এবং পুরো শরীর ঢেকে মাঠ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের নারী ফুটবলাররা। এতে তাঁদের প্রশংসাও মিলেছে বারবার। কিন্তু নতুন এক খবরে থমকে গেছেন অনেকেই। ইরান দলের আটজন নারী ফুটবলার নাকি নারীই নন। পুরুষ হয়েও দিব্যি খেলে বেড়াচ্ছেন নারী ফুটবল!
আল এরাবিয়ান সংবাদ সংস্থার এক খবরে জানা গেছে, ইরানি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দলের আটজন ফুটবলারের বিপক্ষে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে। এই আটজন নাকি পুরুষ হয়েই খেলছেন নারী দলে। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা মোজতাবি শারিফি জানিয়েছেন, এই আটজন ফুটবলারের লিঙ্গ রূপান্তর করার কথা অনেক আগেই। কিন্তু তাঁরা লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারটি না করেই নারী দলে খেলে চলেছেন। এ জন্য নতুন করে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত বছরই জাতীয় দলে চারজন পুরুষ ফুটবলারের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর আবার নতুন করে আটজন নারীরূপী পুরুষ খুঁজে পাওয়ায় লিঙ্গ পরীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে ফুটবল ফেডারেশন।
ইরানে লিঙ্গ পরিবর্তনের ঘটনা এখন বেশ স্বাভাবিক। দেশটিতে সমকামিতা নিষিদ্ধ থাকায় লিঙ্গ পরিবর্তনের ঘটনা বেড়ে গেছে। কারণ, লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার ইরানে বৈধ। ফলে এই আট ফুটবলার তাঁদের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে পুরোপুরি নারীতে পরিণত হলেই আবার ফুটবলে ফিরে আসতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ফিফার সিদ্ধান্ত অবশ্য এখনো জানা যায়নি। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট
২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ