স্পোর্টস ডেস্ক: সত্যি বলতেই হয় কার্টেনি ওয়ালশ বাংলাদেশের হাই-প্রোফাইলধারী একজন কোচ। ওয়েস্টইন্ডিজের এই কৃতিমান ফাস্ট বোলার দীর্ঘ ১৭ বছর ক্রিকেটের সঙ্গে লেগে ছিলেন। এটি একজন ফাস্ট বোলারের জন্য নিশ্চয় বিরল ঘটনা।
কার্টেনির রানআপ একেবারেই মসৃন, কোনো তাড়াহুড়ো নেই। হাই আর্ম এ্যাকশন। দৌড় শুরুর মুহূর্ত থেকে বল ছোড়া এবং ফলো থ্রু পর্যন্ত নান্দনিকতায় ভরা। তার লাইনআপের মতোই নিঁখুত লাইন ও লেন্থ। আর আচার ব্যবহার তো সেটা আসার পর থেকেই সবাই বুঝেছে। তো আর যাই হোক এই মুর্হূতে বাংলাদেশে একজন গুণী কোচের আগমন ঘটেছে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং ভার থাকবে তার অধীনে। এ বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের সঙ্গে। কিন্তু জানেন কি বিসিবি থেকে কত টাকা নেবেন ওয়ালশ? তার মাসিক বেতন কত? সেটাও কি তার উচ্চতার মতোই বিশাল? নিশ্চয়ই হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের চেয়েও অনেক বেশি- নানা কৌতূহলী প্রশ্ন চারিদিকে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের চেয়ে অনেক কম বেতন তার; লঙ্কান ব্যাটিং পরামর্শক সামারাবীরার সমান!
আগেই জানা, ইংল্যান্ডের সঙ্গে হোম সিরিজকে সামনে রেখে ৪৫ দিনের খণ্ডকালীন ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে আসবেন সাবেক লঙ্কান টেস্ট ক্রিকেটার সামারাবীরা। প্রতি কর্ম দিবসে তিনি পাবেন ৫০০ মার্কিন ডলার। চুলচেরা হিসাব কষলে ওয়ালশের দৈনিক পারিশ্রমিকও ঠিক ঐ পরিমাণ। আনুপাতিক হারে ওয়ালশের মাসিক বেতন হাথুরুর ৬৫ ভাগ।
বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ এখন হাথুরুসিংহের মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ডলার (২৭ হাজার ৭২০ ডলার)। সেখানে ওয়ালশের বেতন পড়বে ১৫ হাজার ডলারের মতো। তার ঠিক মাসিক বেতনটা না জানালেও বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওয়ালশ বছরে ২০০ কম দিবস কাটাবেন।
এই ২০০ দিন বাবদ বিসিবি তাকে ১ লাখ ডলার দেবে। সে হিসেবে তার প্রতিদিনের বেতন ৫০০ মার্কিন ডলার।
প্রতিদিনের ঐ অঙ্কটাকে তিরিশ দিনে হিসাব করলে মাসে ১৫ হাজার ডলারই দাঁড়ায়। হিমালয়ের সমান বিশাল ইমেজ যার, তার এর দ্বিগুণ বেতন হলেই বা কি বলার ছিল?
৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর