স্পোর্টস ডেস্ক: সেই আলোচিত কেলেঙ্কারি শেষ করে দিয়েছিল ক্রনিয়ের ক্যারিয়ার। ফাইল ছবি২০০০ সালে ক্রিকেটের অন্ধকার এক ক্ষত হুট করে সবার সামনে খুলে গিয়েছিল। দগদগে এই ঘা দেখে চমকে উঠেছিল অনেকে। হানসি ক্রনিয়ে, শেন ওয়ার্ন, সেলিম মালিক, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকর...কত কত নাম জড়িয়ে গেল ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে। ক্রিকেটকে প্রথম ভয়ংকরভাবে নাড়িয়ে দেওয়া সেই ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির মূল হোতা লন্ডনে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সে সময়ের পত্রিকা পাঠকদের কাছে এই নামটি খুব পরিচিত—সঞ্জীব চাওলা।
গত ১৬ বছরে কত ঘটনাই না ঘটে গেছে। ক্রনিয়ের মতো কিংবদন্তিতুল্য অধিনায়ক পরে পতিত হয়েছেন। এরপর তো রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় মারাই গেলেন। শততম টেস্ট খেলার স্বপ্নও পূরণ হয়নি আজহারের। ফিক্সিংয়ের পর স্পট ফিক্সিং নামের নতুন ভাইরাসও আবিষ্কার হলো। কিন্তু এত দিন চাওলা বিচারের মুখোমুখিই হননি। অবশেষে এই মূল অভিযুক্তকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের অনুরোধে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে লন্ডন পুলিশ।
চাওলাকে শিগগিরই ভারতে আনা হবে। এখানকার তিহার জেলে রাখা হবে। এরপর শুরু হবে বিচার। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে ক্রনিয়ের পাশাপাশি চাওয়ার নামও উঠে আসে। ক্রনিয়ে ও চাওলার টেলিফোনে আড়ি পেতেই পুলিশ এই ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের সময় ক্রনিয়ে ইচ্ছা করেই ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন বাজিকরদের কাছে টাকা খেয়ে।
পরে ক্রনিয়ে বিশেষ কমিশনের কাছে সব স্বীকারও করেন। তাতে উঠে আসে আরও ভয়ংকর সব তথ্য। এই ঘটনার আরেক পলাতক আসামি মনমোহন কুমার খাত্তারকে এখনো খুঁজছে পুলিশ।
ক্রনিয়ে তো তাঁর কৃতকর্মের ফল পৃথিবীতেই ভোগ করে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। তবে এত দিন পরে চলেও চাওলার বিচার শুরু হলে এটি বাকি অপরাধীদের কাছে একটি বার্তা দেবে। অন্যায় করে কেউ কখনো রেহাই পায় না। ক্রিকেটকে স্বচ্ছ রাখতেও ভূমিকা রাখবে নিশ্চয়ই। যদিও চাওলাকে ভারতে এনে বিচার শুরু করার মধ্যে আছে এখনো কিছু জটিলতা। দিল্লি পুলিশ আশাবাদী, এসব জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যাবে।-প্রথম আলো
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস