শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫৫:৫৩

কোচের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখায় কি বাদ আল-আমিন?

কোচের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখায় কি বাদ আল-আমিন?

স্পোর্টস ডেস্ক: যারা গত কয়েক মাস বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেছেন, নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন পেসার আল-আমিনের ঝলক। অ্যাকশন বদল করার পর গতি, সুইং আর বাউন্স দিয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি হয়ে উঠেছেন তিনি।

এশিয়া কাপে ছিলেন সর্বাধিক উইকেট শিকারি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ২৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিকের তালিকায়। সেই আল-আমিনকে বাদ দিয়ে শফিউল ইসলামকে দলে নেয়ার কারণ হিসেবে নির্বাচকরা বলছেন, আলোচিত এই পেসার নাকি ফিট নন! কিন্তু অন্দরমহলের খবর বলছে ভিন্ন কথা। কোচের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখায় কি বাদ আল-আমিন?

বিসিবি সূত্র জানা গেছে, ফিটনেস পরীক্ষায় বিপটেস্টে ১৩.১ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমস্থান দখল করেন সাব্বির রহমান। ১২.৮ পয়েন্ট অর্জন করে দ্বিতীয় হন আল-আমিন। পেসারদের মধ্যে তার মতো ফিট আর কেউ নন। বিসিবিতে গতকাল শোনা গেল, প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের কারণেই দলে নেই এই পেসার।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরে কোচের সঙ্গে ‘হাই-হ্যালো’ ছাড়া কোনো কথাই বলেননি। বিশ্বকাপ চলাকালীন দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে হাথুরুর রোষানলে পড়েন। মাঝপথে তাকে দেশেও পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজে তাকে বিবেচনার বাইরে রাখেন তৎকালীন নির্বাচকরা।

শ্রীলঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহ বরাবরই নিয়মনীতির ব্যাপারে কড়া। নাসির হোসেনের মতো খেলোয়াড়কে তিনি সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন একই কারণে।

বাংলাদেশ দলের গত কয়েক দিনের অনুশীলনেও হাথুরু-আমিন দ্বন্ধের চিত্র দেখা গেছে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচের বিরতিতে হাথরুসিংহ পেসারদের ক্যাচিং প্রাকটিস করাতে মাঠে নামেন। বিশেষ করে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় তাকে। ওই সময় আলাউদ্দিন বাবু, শফিউল, রুবেলসহ সবাইকে দেখা গেলেও আল-আমিন ছিলেন কোর্টনি ওয়ালশের কাছে।

বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন। শেষ ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’ও হয়েছিলেন।

অন্যদিকে শফিউল সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে। এরপর লড়াই করেছেন চোটের সঙ্গে। হারিয়েছিলেন ফর্ম। সর্বশেষ ঢাকা লিগেও করতে পারেননি ভালো কিছু। ১০ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ওভারপ্রতি সাড়ে পাঁচের বেশি রান দিয়ে।

আল-আমিনকে বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে গতকাল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আল আমিন এবং শফিউলকে নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা ফিটনেস এবং অন্যান্য সব কিছু নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে শফিউলকেই নিয়েছি। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে শফিউল খুব উন্নতি করেছে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চূড়ান্ত দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম।-ঢাকা টাইমস
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে