স্পোর্টস ডেস্ক : এমন দুই ব্যক্তির নামাঙ্কিত সিরিজ, যারা অহিংসার মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ন্যূনতম বন্ধুত্বের নিদর্শন থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই ধরনের মানসিকতার লেশমাত্র আছে বলে মনে হয় না।
আসলে পেশাদারিত্বের যুগে এসবের কোনও বালাই নেই। না হলে কি আর নেট থেকে বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানেদের বার করে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির? নিজেদের দেশেই ব্রাত্য ধোনিরা!
ভারতের প্র্যাকটিস নির্ধারিত ছিল বিকেল ৫টা থেকে। অথচ ৩টেয় মাঠে হাজির বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানেরা। সঙ্গে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। ব্যাট–প্যাড নিয়ে নেটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কোহলি। নেমে পড়েন অনুশীলনে। নিজেদের অনুশীলনের নির্ধারিত সময়ে মাঠে নেমে ডি’ভিলিয়ার্সরা দেখেন একটি নেটের পাশে কোহলি, রাহানে ও বাঙ্গার।
লোকাল ম্যানেজারকে ডেকে তৎক্ষণাৎ কোহলিদের নেট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ম্যানেজার। বেচারি কোহলি কী আর করবেন। কিটস ব্যাগ গুছিয়ে সাজঘরের পথে। যতই গান্ধী–ম্যান্ডেলার নামে সিরিজ হোক, অহিংসার কথা বারবার উঠে আসুক, দক্ষিণ আফ্রিকা যে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ, এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। আসলে পেশাদারিত্বের যুগে ওসবের কোনও জায়গা নেই। নিজেদের দেশে এভাবে ব্যাকফুটে যেতে হবে, কোহলিরা স্বপ্নেও হয়ত ভাবেননি।