স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবল খেলায় প্রতিটি খেলোয়াড়ের বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। তা হলো যখন গোল হয়, তখন যে খেলোয়াড় গোল করেন তার শরীরের উপর বাকি ১০জন খেলোয়াড়তো বটে পারলে পুরো ডাক আউপ হুবড়ি খেয়ে পড়ে। পরশু তেমনই এক গোলের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব।
সেই ম্যাচটিতে লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা এই দলটি। ৫৫ মিনিটে অবশ্য সমতা ফিরিয়েছিলেন ভিতাইওলি। তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশ্য এই পরাজয়েও রীতিমতো উৎসব করেছে সান মারিনো। ৩৪ ম্যাচ আর ১৪ বছর পর যে এই প্রথম বিদেশের মাটিতে গোল পেল তারা!
আর ভিতাইওলির এই গোল তাঁকে তুলে দিল ‘ইতিহাসে’। মাত্র এক গোল করেই যে সান মারিনোর সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সেরা তিনে উঠে গেছেন তিনি!
১৯৯০ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল চারদিকে ইতালি বেষ্টিত ২৬ বর্গমাইলের ছোট্ট এই দেশটি। খেলার আনন্দে ফুটবল খেলা সান মারিনো মাঝে মধ্যেই পত্রিকায় আসে ভূরি ভূরি গোল হজম করার কারণে। জার্মানির কাছে একবার ১৩-০ গোলে হেরেছিল তারা। আরও চারটি ম্যাচ আছে যেখানে তাদের হজম করতে হয়েছিল দশটি করে গোল। এই তো গত ম্যাচের আগের ম্যাচটাতেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৬-০তে।
কিন্তু এসব তারা গায়েই মাখে না। মাত্র ৩২ হাজার জনসংখ্যার দেশটি অলীক কোনো স্বপ্নও দেখে না। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে একটাই ম্যাচ তারা জিতেছে। ১১ বছর আগে যে জয়টি এসেছিল লিকটেনস্টেইনের বিপক্ষে। ১৩১ ম্যাচে এই একটাই জয়, চারটি ড্র। ১২৬টিতেই হার। হজম করেছে ৫৫০ গোল। প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছে মাত্র ২২ গোল।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর