সৌরভ গাঙ্গুলী : অনেকে ধর্মশালার মাঠের শিশির-সমস্যাকে ভারতের হারের জন্য দায়ী করছে। কারণটা কিছুটা ঠিকও। কিন্তু শিশিরের ফ্যাক্টর বাদ দিয়েও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুশো রান তাড়া করে জেতাটা কিন্তু বেশ কঠিন কাজ। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা যে যথেষ্ট ভাল হল, তা স্বীকার করতেই হবে।
সোমবার কটকে কিন্তু সম্পুর্ণ অন্য পরিবেশ পাবে দুই দলই। ওখানকার আবহাওয়া যেমন আলাদা, তেমনই মাঠও কিন্তু ধর্মশালার চেয়ে বড়। মাঠ বড় মানে স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা পাওয়া উচিত। শিশির-সমস্যাও আগের ম্যাচের মতো হওয়া উচিত নয়। পূর্ব ভারতের কোনও শহরে এই সময় রাতে আর কতই বা শিশির পড়বে? তাই রাতের দিকে বল তেমন ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা কম।
তবে বরাবাটি স্টেডিয়ামে ভারতীয় সিমারদের সম্ভবত আরও বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে। এই ভারতীয় দলের পেস আক্রমণে খুব একটা গতি নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে আটকাতে ওদের দিয়ে ব্যালান্স রেখে বোলিং করাতে হবে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ধর্মশালায় ওরা যে ভাবে রানটা তাড়া করল, তা দেখার মতো। কোনও সময়ই আস্কিং রেট বারোর বেশি উঠতে দেয়নি ওরা। বড় রান তারা করতে হলে এ ভাবেই এগোতে হয়। জেপি দুমিনি কী আসাধারণ ব্যাট করল! অসাধারণ বলতে আমি কিন্তু শুধু রানের কথা বলছি না।
ব্যাট করার সময় যে পরিণত মানসিকতা দেখাল ও, তার কথাও বলছি। বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর পটেলকে ও এক দিকে আক্রমণ করল। অন্য দিকে অফ স্পিনার বল করতে এলে স্ট্রাইক দিচ্ছিল ফারহান বেহারদিনকে। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও, বিশেষ করে রোহিত শর্মা অসাধারণ। এই কন্ডিশনে ও যে অন্যরকম, তা বুঝিয়ে দিল। সারা সিরিজেই বিপক্ষের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকবে রোহিত।
সব শেষে আসি অরবিন্দ শ্রীনাথের কথায়। যার অভিষেক খুব একটা ভাল হল না। কোনও নতুন ছেলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করলে তার পক্ষে ব্যাপারটা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। নির্বাচকদের ওকে আরও সময় এবং সুযোগ দিতে হবে।
৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি