অগ্নি পান্ডে: দেখা হতেই প্রশ্নটি করব ঠিক করে রাখা ছিল আগে থেকেই। ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে দেখা হতেই প্রশ্ন করব কী তিনিই প্রথম প্রশ্ন করে বসলেন! ‘কেমন আছেন?’ হাসতে, হাসতে বলে উঠলেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা করতে এত দূর চলে এলেন!’ অগত্যা বলতেই হল, আপনার আগ্রার ট্রেিনংয়ের কথা তো জানাই হয়নি।
হাসছেন মাহি(Dhoni)। আরও যেন পেটানো চেহারা। মাথায় একদম সেনাবাহিনীর ছাঁট। যাকে কদমছাঁট বলে থাকি আমরা। ঢাকা সফর সেরে দেশে ফিরে কিছু দিনের বিশ্রাম নিয়েই ভারতের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে গেছিলেন আগ্রায়। কেন? ভারতীয় সেনাবািহনীর প্যারাট্রুপারবাহিনীর তিনি তো লেফটেনেন্ট কর্নেল। না, সাম্মানিক পদ হলেও বরাবরই সেনাবাহিনীর প্রতি টান থাকা ধোনি বাড়িতে বসে ছুটি কাটাতে চাননি। তাই সোজা আগ্রায়।
খেড়িয়ায় এয়ারবেসে সেনাবাহিনীর এয়ার ট্রান্সপোর্ট স্কুলে ২০ দিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রম সেরে আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরেছেন ধোনি! ভাবা যায়! ‘আমি শুধু সাম্মানিক পদ নিয়ে বসে থাকতে রাজি ছিলাম না। ভেবেই রেখেছিলাম যখন সময় পাব তখন চলে যাব লেফটেনেন্টদের ট্রেনিংয়ে। সেজন্য গিয়েছিলাম।’ কেমন সেই ট্রেনিং? মাহি ধরমশালায় দু’দফায় জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
কেমন সেই অভিজ্ঞতা? চোয়াল শক্ত করে ভারত–অধিনায়ক একান্তে উত্তর িদলেন। ‘জীবনে এত কঠিন ট্রেনিং করিনি। বলতে পারেন সারা জীবনের একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। উফ্, কী সেই সব ট্রেনিং! না, দেখলে বিশ্বাস করানো যায় না। তবে ট্রেনিংয়ের খুঁটিনাটি জানতে চাইবেন না। কারণ, সেনাবাহিনীর নিয়মেই আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে জেনে রাখুন আমার জীবনের সবচেয়ে বর্ণময় দিন গেছে ওই ২০ দিন আগ্রায়। বলে বোঝাতে পারব না।
আমরা কী করি? কিছুই না। এত কঠিন ট্রেনিং বোধহয় আর হয় না। সত্যি আমি এবার নিজেকে পুরো পূর্ণ বলে দাবি করতে পারি।’ সামনে দাঁড়িয়ে ধোনির অভিজ্ঞতার কথা শুনতে, শুনতে মনে হচ্ছিল না, মাহি ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটারের পক্ষে এমন সব দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। যিনি ২০১৪ সালে সেনাবাহিনীর সম্মান লেফটেনেন্ট কর্নেলের পদ পেয়েছিলেন। চুপ করে তা হজম করতে চাননি বলেই ২০ দিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর ধোনি সতি্যই যে বর্তমানে বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল! এটা মাহির পক্ষেই সম্ভব।
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি