স্পোর্টস ডেস্ক: গত সোমবারের দিনটি ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার ৩২ তম জন্মদিন। জন্মদিনে সাংবাদিকরা তাকে ভালোবেসে একটি কেক নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কেকটি নিজে থেকে কাটেননি মাশরাফি, তবে কাটার পর খেয়েছেন।
পরে এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি নিজ থেকেই জানিয়েছেন তার জন্মদিন উদযাপন না করার পারিবারিক ইতিহাস। তিনি বলেন, ‘একবার হয়েছিল। এক বছর বয়সের সেই স্মৃতি অবশ্য আমার মনে নেই। মায়ের কাছে শুনেছি খুব ঘটা করে জন্মদিনটা হয়েছিল। মায়ের ইচ্ছায় আমার নানা সব আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু পরে নানাই মাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, 'ছেলের জন্মদিন পালন করার সময় কি ভেবেছ যে ছেলেটার আয়ু এক বছর কমে গেল? যদি পারো ছেলের জন্মদিনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে নামাজ পড়ো, যেন ছেলের সামনের দিনগুলো ভালো যায়। সেই থেকে আমার আর জন্মদিনের উৎসব হয়নি, বাসার কারোরই হয় না।’
মাশরাফি ও তার ছেলের জন্ম আবার একই দিনে। তাই ছেলের জন্মদিনে কাল বাসা থেকে বের হবার আগে ঘুমন্ত ছেলেকে একটু কোলে নিয়েছেন, আদর করে মাথায় হাত বুলিয়েছেন। নিজের মতই ছেলের জন্মদিনও কেকে কেটে উদযাপন করেননি। এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘না। আমার চার বছর বয়সী মেয়েরও জন্মদিন হয়নি। তার মানে এই না যে আমি জন্মদিন বিরোধী। অন্যের জন্মদিনের নিমন্ত্রণে যাই,কেক-টেক খাইও। কাল রাতেই যেমন মক্কা থেকে মা ফোন করেছিলেন। চেনা জানা অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে; কিন্তু কেক আর কাটাকাটি করি না। তবে আবারও বলছি, এটা আমাদের বাসার রীতি। অন্যের জন্মদিন পালন করা নিয়ে আমার কোনো রকম আপত্তি নেই। কেউ আবার ভুল বুঝবেন না প্লিজ!’ সূত্র: কালের কন্ঠ
৬অক্টোবর ২০১৫,এমটিনিউজ২৪/আরিফুর/রাজু