বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:১০:৫৫

তুঙ্গে মিয়াঁদাদ-আফ্রিদির ঝগড়া, মামলার সিদ্ধান্ত

তুঙ্গে মিয়াঁদাদ-আফ্রিদির ঝগড়া, মামলার সিদ্ধান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক: আফ্রিদি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, অভিযোগ জাভেদ মিয়াঁদাদের। জাভেদ মিয়াঁদাদ টাকার কাঙ্গাল, পাল্টা অভিযোগ আফ্রিদির। ঠিক এভাবে একে অপরের বিপক্ষে কাঁদা ছোঁড়া-ছুড়ি করছেন পাকিস্তান দলের এই দুই লিজেন্ট ক্রিকেটার।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলন আফ্রিদি। জাভেদ মিয়াঁদাদের এই মন্তব্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। চারদিকে সবাই যেমন সমালোচনার ঝড় তুলছেন তেমনি আফ্রিদিও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন মিয়াঁদাদের এই মন্তব্যে। চার দিক থেকে সমালোচনার তীর ধেয়ে আসার কারণে মিয়াঁদাদ আবার কিছুটা ব্যাকফুটে চলে আসলেন। তিনি জানিয়েছেন, মন্তব্যের কারণে আফ্রিদিকে ক্ষমা করে দিলাম।

তবে মিয়াঁদাদের নরম সুরে সম্ভবত আর বরফ গলছে না। আফ্রিদি শুরুতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আইনি পথে হাঁটবেন। পরে সে পথে না গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়ে আফ্রিদি কিছু মন্তব্য করেন। মিয়াঁদাদকে বড় ভাই সম্বোধন করে তিনি বলেছিলেন, তিনি অর্থের জন্য খেলেন না। অর্থই যদি মূল হতো, তাহলে বহু আগেই সটকে পড়তেন।

তবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মন্তব্যটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আফ্রিদি। টুইটারের মাধ্যমেই তিনি পরে জানিয়ে দিলেন, মিয়াঁদাদ যদি তার এই বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে না নেয়, তাহলে তিনি আইনি পথে হাঁটবেন। আদালতে মামলা ঠুকবেন এবং আদালতই নির্ধারণ করবে আসলে তিনি ফিক্সার ছিলেন কি না।

আফ্রিদি টুইটারের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, ‘জাভেদ ভাই আমাকে ক্ষমা করেছেন ঠিক আছে। তবে তিনি অবশ্যই তার ফিক্সিংয়ের অভিযোগের বক্তব্যটি প্রত্যাহার করতে হবে। না হয় আমি আদালতের দ্বারস্থ হবো। সেখানেই নিষ্পত্তি হবে আমি আসলে ফিক্সার ছিলাম কি না।’

আফ্রিদি-মিয়াঁদাদের এই ঝগড়ায় বিরক্ত আকিভ জাভেদ বলেছেন, ‘এটা শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেটকেই অসম্মানিত করছে। অন্য কিছু নয়। তারা দুজনই ভুল করছেন।’ সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম তো দু’জনের মধ্যে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন।
১৩ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে