স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে লিওনেল মেসি হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে পারবেন। জটিল থেকে জটিলতর আকার ধারণ করা কর ফাঁকির মামলা থেকে অবশেষে মুক্তি মিলল তাঁর। স্পেনের আদালতে চলমান মামলাটির অভিযুক্তের তালিকা থেকে মেসির নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অবশ্য সহসাই মুক্তি মিলছে না মেসির বাবার।
স্পেনের কর বিভাগ অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশাল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছেন মেসি। বার্সা ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ কোটি টাকার সমান। এর দায় বর্তায় মেসির এজেন্টের ভূমিকা পালন করা তাঁর বাবা হোর্হে মেসির ওপরও। উরুগুয়ে, বেলিজ, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের কিছু নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বার্সেলোনার ফুটবল তারকার ছবি স্বত্ব বিক্রির মাধ্যমে এ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ অভিযোগে আদালতে হাজিরাও দিতে হয়েছে মেসি ও তাঁর বাবাকে।
তবে মেসির আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, চুক্তি বিস্তারিত পড়া, গবেষণা বা বিশ্লেষণের জন্য এক মিনিটও সময় নেই তাঁর। মেসি এসব করেনও না। শুধু সই দেওয়ার কাজটি করেন।
মেসির বাবাও নিজের দায় স্বীকার করে বলেছিলেন, সব সময়ই বলে এসেছি, এর সঙ্গে ওর কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের আইনজীবীরা বিষয়টি দেখছেন। এর সঙ্গে আমি জড়িত, ওর এতে কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে আদালত এই যুক্তিতে মেসিকে অব্যাহতি দিতে রাজি না হলেও এবার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে। তা ছাড়া ঘটনার সময় মেসির বয়সটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এবার মেসিকেই ডাকা হতে পারে তাঁর বাবার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে।
মেসিকে আদালতে গিয়ে বলতে হবে, আমি কিছু জানতাম না, আমার বাবাই আমার টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন। আর মেসির এই সাক্ষ্য তাঁরা বাবা হোর্হের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আইনজীবীরা মেসির বাবার দেড় বছরের জেল ও ২০ লাখ ইউরো জরিমানার আবেদন করেছেন।-সূত্র: বিবিসি
৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে