স্পোর্টস ডেস্ক : হিমাচলের ধর্মশালার পর ওড়িশার কটক— দু’প্লেসির দক্ষিণ আফ্রিকা ধোনিদের দু’জায়গাতেই উড়িয়ে দিয়ে সিরিজের মৃত্যু ঘটিয়ে দিয়েছে কলকাতায় ঢোকার আগেই। কেউ কেউ বলতে পারেন যে, এত কিছুর পরেও আগ্রহের একটা বিষয় থাকবে। ধোনির অধিনায়কত্ব, ফর্ম নিয়ে ইদানীং যে কড়া প্রশ্নগুলো উঠছে, তার যোগ্য উত্তর ইডেনে তিনি দিতে পারবেন কি না, নিয়মরক্ষার ম্যাচেও সেটা তো দেখতে চাইবে কলকাতা।
কিন্তু বাস্তব হল, কলকাতায় অনেক বেশি আগ্রহী থাকবে অন্য একটা পরীক্ষার রেজাল্ট আউটে। আর এক জনের পরীক্ষার। এবং নিশ্চিত ভাবে তার নামটা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নয়। তিনি, ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির পূর্বসুরি সৌরভ গাঙ্গুলী। এবং বাইশ গজে নয়, পরীক্ষাটা তার বাইশ গজের বাইরের। ক্রিকেট নয়, প্রশাসনিক দক্ষতার।
সিএবিতে গত কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছিল, ম্যাচের সাংগঠনিক ব্যাপারস্যাপারে প্রবল ভাবে ঢুকে পড়তে চাইছেন সৌরভ। সিএবি প্রেসিডেন্ট (ঘোষিত) হিসেবে এটাই তার প্রথম প্রশাসনিক-যুদ্ধ। এবং সেটা— মেগা-যুদ্ধ। যতই হোক টি-টোয়েন্টি, যতই হোক গুরুত্বহীন, কিন্তু আদতে তো বৃহস্পতিবারের ইডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর সেটা নিখুঁত শেষ করা খুব সহজ চ্যালেঞ্জ নয়। লেটার মার্কস না এলেও চলবে।
কিন্তু পাস মার্ক না উঠলে তো বদনামের শেষ থাকবে না। কাজও এক-আধটা নয়, এক হাজার। স্টেডিয়ামে জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে উইকেট চরিত্র— প্রশ্নের তো শেষ থাকে না। সৌরভকে দেখা গেল এ দিন একের পর এক বৈঠক করছেন। মাঝে একবার সময় করে ঘুরে এলেন টিকিট কাউন্টার। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি যাকে বলে। সন্ধ্যার দিকে সিএবিতে সৌরভ বলছিলেন, ‘‘স্যর (ডালমিয়া) ছাড়াও ইডেনে ম্যাচ আয়োজন হয়েছে। টিমওয়ার্কে এটা বার করতে হবে।’’ সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-ও বলে দিলেন, ‘‘ডালমিয়ার কথা মাথায় রেখেই আমাদের সবাইকে দেখতে হবে ম্যাচে যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়।’’
৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি