শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:৫৯:৩৩

ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইউনুস খান

ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইউনুস খান

স্পোর্টস ডেস্ক: অসুস্থতার পর ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইউনুস খান। সর্বশেষ খেলা টেস্টে ওভালে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর ডেঙ্গুতে কাহিল ইউনুস খান খেলেননি দুবাই টেস্ট।

গতকাল আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফেরাটা স্মরণীয় করলেন ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে। ১০৯ টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ৩৩টি, এর ১৩টি বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাওয়ার পর।

৩৫ বছরের বেশি বয়সে সর্বোচ্চ ১৩ সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন পাকিস্তানি সাবেক অধিনায়কেরই। এর আগে ১২টি করে সেঞ্চুরি ছিল গ্রাহাম গুচ, রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকারের।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান প্রথম দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৩০৪ রানে। দিনের শেষ বলে ১২৭ করে আউট হন ইউনিস। ৯০ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ইউনিস-মিসবাহ জুটি হিসেবে ১৫টি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৩১৫৬, যা পাকিস্তানিদের মধ্যে সেরা। আগের ৩১৩৭ রান ছিল ইউনিস খান ও মোহাম্মদ ইউসুফের।

আগের ম্যাচের ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান আজহার আলী আবুধাবির ব্যাটিং উইকেটে রানই পাননি। ০ রানে তিনি ফেরেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে। অপর ওপেনার সামি আসলামও (৬) বোল্ড দেবেন্দ্র বিশুর বলে। ৪২ রানে দুই ওপেনার হারিয়ে পাকিস্তান তখন বিপদে। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়ে ধাক্কাটা সামলান ইউনিস খান ও আসাদ শফিক। চা বিরতির পর জুটিটা ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল।

১২১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৮ করে বোল্ড হন শফিক। এরপর হালটা ধরেন ইউনিস খান ও অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। আস্থার প্রতীক হয়ে চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েছিলেন ১৭৫ রানের জুটি। ৮৪ রানে ক্রেগ ব্রাথওয়েট রিটার্ন ক্যাচ মিস করলে জীবন পেয়েছিলেন ইউনিস।  কিন্তু দিনের একেবারে শেষ বলে শিকার ব্রাথওয়েটের। ২০৫ বলে ১০ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় করেছিলেন ১২৭। ১৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৯০ রানে অপরাজিত মিসবাহ। ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান : ৮৪ ওভারে ৩০৪/৪ (ইউনিস ১২৭, মিসবাহ ৯০*, শফিক ৬৮, সামি ৬; গ্যাব্রিয়েল ২/৪৩, বিশু ১/৯২, ব্রাথওয়েট ১/৩৬
২২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে