শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:৪৯:৪৫

টাইগারদের বিপক্ষে এখন সুজন-সুমনদের প্রতিপক্ষ সেই গ্যারেথ ব্যাটি

টাইগারদের বিপক্ষে এখন সুজন-সুমনদের প্রতিপক্ষ সেই গ্যারেথ ব্যাটি

স্পোর্টস ডেস্ক : ১৩ বছর আগের শুধু ওই একটা মানুষই আছেন আগের পরিচয়ে! ১৩ বছর আগের শুধু ওই একটা মানুষই আছেন আগের পরিচয়ে!

২১ অক্টোবর, ২০০৩। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশের অধিনায়ক তখন খালেদ মাহমুদ সুজন। দলে আছেন হাবিবুল বাশার সুমন, রাজিন সালেহ, খালেদ মাসুদ পাইলট, জাভেদ ওমর বেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হান্নান সরকাররা।

মাইকেল ভনের ইংল্যান্ড দলে সেদিন দেখা গেল ডান হাতি এক অফস্পিনারকে। নাম গ্যারেথ ব্যাটি। বাংলাদেশের মাটিতে স্পিনে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য অ্যাশলে জাইলসের পাশে সেদিন তাকেও মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুই ইনিংস মিলিয়ে পেয়েছিলেন মোটে দুই উইকেট।

এরপর ২০০৫ সাল অবধি খেলতে পেরেছেন মোটে সাতটি টেস্ট। সেখানে ১১ উইকেট পাওয়া গ্যারেথ ব্যাটিকে তখন অনেকটা বাতিলের খাতায়ই ছুড়ে ফেলা হল।

এরপরও তিনি ফিরলেন। ফিরলেন অভিষেকের ঠিক ১৩ বছর পর। ভাবা যায়!

সর্বশেষ টেস্ট খেলার ১১ বছর পর ফিরলেন সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই! আর ফিরেই তুলে নিলেন বিপক্ষে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা তামিম ইকবাল খানের উইকেট।

গ্যারেথ ব্যাটির সর্বশেষ টেস্ট উইকেটটাও এক বাংলাদেশির। ২০০৫ সালে চেস্টার লি স্ট্রিটে তিনি আউট করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে।

দুই টেস্ট উইকেট নেওয়ার মাঝে এরচেয়ে বেশি সময়ের বিরতি এর আগে দেখা গেছে কেবল লেন হাটনের ক্ষেত্রে। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় উইকেট পাওয়ার পর হাটন তৃতীয় টেস্ট উইকেট পেয়েছিলেন ১৯৫৫ সালে এসে। মানে ১৬ বছলের ব্যবধান।

চট্টগ্রাম টেস্ট গ্যারেথ ব্যাটির জীবনের আট নম্বর টেস্ট। এর মধ্যে চারটাই আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে; দুটো বাংলাদেশের বিপক্ষে। ফলে, নি:সন্দেহে বাংলাদেশ তার জন্য পয়া ভেন্যু।

মজার ব্যাপার হল অভিষেক টেস্টে ব্যাটির সতীর্থ যারা ছিলেন তাদের মাত্র দু’জন এখন ক্রিকেট খেলেন, তাও জাতীয় দল নয়। ওয়ারউইকশায়ারের রিকি ক্লার্ক ও সামারসেটের ক্রিস রেডকে বাদ দিলে কেউ ধারভাষ্য বা কেউ কোচিংয়ের সাথে যুক্ত হয়ে গেছেন।

সেই বাংলাদেশও আর নেই। সেই দলে খেলা মাশরাফি বিন মুর্তজাই কেবল এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেন বাংলাদেশের হয়ে। তিনিই অধিনায়ক। এর বাদে আর কেউ জাতীয় দলের ধারের কাছেও নেই। অলক কাপালি, এনামুল হক জুনিয়র, রাজিন সালেহদের দেখা যায় কেবল ঘরোয়া ক্রিকেটে।

হ্যা, তখনকার অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য এখনও আছেন। তবে তিনি এখন শুধুই দলের ম্যানেজার। আছেন সেই সময়ে দলের সেরা ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার। তবে, তার পদটা নির্বাচকের। ১৩ বছর আগের শুধু ওই একটা মানুষই আছেন আগের পরিচয়ে!-খেলাধুলা
২২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে