সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ০৪:০৩:৫৩

এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পরাজয়

এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পরাজয়

স্পোর্টস ডেস্ক : হার হারই। বড় ব্যবধান আর ছোট ব্যবধান বড় কথা নয়। তবে টেস্টে ইংলিশদের কাছে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট্ট পরাজয়।
 
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ডের ব্যবধান কতটুকু? এ প্রশ্নের জবাব দিতে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে পড়ে না। এমনকি পরিসংখ্যানও ঘাঁটতে হবে না। গ্যালিভার আর লিলিপুটও এখন বলার উপায় নেই। কারণ, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস অর্জন করে ফেলেছে।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের পর ১৬ বছর পার হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বড় বড় শক্তিগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবারই জয়ের সুযোগ তৈরী করে ফেলেছিল প্রায়। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্ট থেকে শুরু করে ২০১৬ সালে সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্ট। ইতিহাসই সৃষ্টি করে গেলো শুধু; কিন্তু বিজয়ীর স্থানটিতে যদি নাম লেখানো না যায়, তাহলে যতই লড়াই করা হোক কোন লাভ হবে না।

তবুও ১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কেমন করে সেটার দিকেই তাকিয়েছিল সবাই। চট্টগ্রামের এমন রহস্যময় উইকেটে এত ভালো খেলাও কেউ প্রত্যাশা করেনি। আগেরদিনই কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, এতটা আশা করনেনি তিনি। কিন্তু দিন শেষে তো পরাজিতদের কাতারেই থাকতে হলো বাংলাদেশকে। পরাজিতরা যে ইতিহাসে ঠাঁই পায় না, সেটা সবারই জানা। সে যত উৎকৃষ্ট লড়াই করেই হোক।

তবুও ক্রিকেট যেহেতু, সেহেতু পরসিংখ্যান অনেক কথাই বলে। বাংলাদেশ এই টেস্টে পরাজিত হলেও নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম ব্যবধানে হারের ইতিহাসটা তো গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ! রানের হিসেব করলে এর আগে ১০০ রানের কম ব্যবধানে বাংলাদেশ হেরেছিল একবারই। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায়, ৭৭ রানে। এছাড়া সবচেয়ে ছোট ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল ১০৭ রানে।

এবার এই ব্যবধানটা এসে দাঁড়িয়েছে ২২ রানে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় জিততে জিততে হেরে গেলো বাংলাদেশ। তবে উইকেটের ব্যবধানে এর ক্লোজ ম্যাচ হেরে গেছে বাংলাদেশ। মুলতানে ১ উইকেটে হেরেছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’বার হেরেছিল ৩ উইকেটের ব্যবধানে।
২৪ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে