স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্ট হৃদয় ভেঙেছে বাংলাদেশের মানুষের। মিরপুর টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছে তারা। প্রথমবারের মত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে জয় চায় টাইগারভক্তরা।
তবে জিতলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই টেস্টে জয় পাওয়াকে অনেক বড় করে দেখছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টো তো বলেই দিলেন তাঁর ক্যারিয়ারেরই অন্যতম সেরা জয় মনে করেন এটিকে।
তিনি চট্টগ্রামের এই জয়কে তুলনা করেছেন ২০১৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ট্রেন্টব্রিজের সেই বিখ্যাত জয়ের সঙ্গে, যেটিতে তীব্র লড়াইয়ের পর ১৪ রানে জিতেছিল ইংলিশরা।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলে বাংলাদেশে বসেই কলাম লিখছেন বেয়ারস্টো। তিনি চট্টগ্রামে টেস্ট জয়ের বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর লেখায়। বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম টেস্টের জয়টি বিরাট এক জয়। আমার কাছে এই জয় ২০১৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজে ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই জয়টির মতোই। যে ম্যাচটি আমরা জিতেছিলাম ১৪ রানে।’
টেস্টের চতুর্থ দিনটি বেয়ারস্টোর কাছে ছিল সবচেয়ে কঠিন। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরে নাকি বেঘোরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। তবে পঞ্চম দিন সকালে ইংল্যান্ড দল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল বলে লিখেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, ‘অনেকেই বলছে, আমরা নাকি চতুর্থ দিন শেষে ঘুমহীন রাত কাটিয়েছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আমি সে রাতে প্রচণ্ড ক্লান্ত ছিলাম। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে উইকেটকিপিংয়ের চ্যালেঞ্জ ছিল, মনোযোগ রেখে রান করার চ্যালেঞ্জ—সব মিলিয়ে আমি রাত সোয়া নয়টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ি। টানা ঘুম দিয়ে সকালে উঠি।
পঞ্চম দিন সকালে মাঠে আমরা বেশ ফুরফুরে ছিলাম। আমরা জানতাম যে দুটি ভালো বলই বাংলাদেশকে অলআউট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ওভারে বেন স্টোকসের বলে তাইজুল ইসলামের গ্লাভসে লেগে বল যখন সীমানা ছাড়া হলো, তখন প্রমাদ গুণেছিলাম। কিন্তু স্টোকস তো বাংলাদেশকে শেষ করে দিল দুটো বলেই।’
বাংলাদেশ সফরটা বেশ উপভোগ করছেন বেয়ারস্টো। কলামে প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ডে দলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার, ‘এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর উপভোগ করছি। চট্টগ্রামে যে হোটেলটিতে আছি, সেটি তো দুর্দান্ত। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।
এই নিশ্চিন্ত নিরাপত্তাই আমাদের ক্রিকেটে মনোযোগী হতে সাহায্য করেছে। আমার মনে হয় সেটি দলের খেলাতেই প্রতিফলিত। আমরা এখন প্রস্তুত হচ্ছি শুক্রবার ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য। টেস্টটা যথেষ্ট কঠিনই হবে। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু বেশ দ্রুতই শক্তিশালী দল হয়ে উঠছে।’
২৬ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর